ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে অবিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবির অ্যাকাডেমিক ভবনের লেকচার থিয়েটারে রোববার দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম। তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক ছাড়া সুশিক্ষিত নাগরিক হওয়া সম্ভবপর নয়। এজন্য রবির প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার এবং মৃত্তিকালগ্ন সংস্কৃতির নির্যাসগুলোকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। আমাদের ধারাটাকে এমনভাবে নিয়ে যেতে চাই, যাতে প্রতিফলিত হবে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটি প্রতিফলিত হলে তা প্রকারান্তরে মুজিব আদর্শের বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়টি সৃষ্টির পেছনে যে উদ্দেশ্য রয়েছে, সেই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে শিক্ষাক্রমকে প্রস্তুত ও সেটাকে বিন্যস্ত করতে চাই।

রবি সৃষ্টির উদ্দেশ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে চিরঅম্লান করার লক্ষ্যে গবেষণা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে পরিবর্তমান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করা। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে সমন্বয় করে একটি সুসমন্বিত তথা ইন্টিগ্রেটেড পরিবেশ তৈরি করেছি এবং সেটির মধ্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

বর্তমানে নানা সংকট থাকলেও আন্তরিকতা ও সাংস্কৃতিক মমত্ববোধ দিয়ে এ সংকটগুলো থেকে উত্তরণে সদা সচেষ্ট। রবি ইতিমধ্যে বিভিন্ন দিকে অগ্রসর হয়েছে যার অনেকটাই দৃশ্যমান।

সম্প্রতি ২০২৩সালের ওয়েব ম্যাট্রিক্সের সূচক অনুযায়ী রবি নবীন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ২য় স্থান অধিকার করেছে যেটি আমাদের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। শিক্ষার্থীরা যেন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে তাদের সম্পর্কটা রাখতে পারে সেজন্য সেমিনার সংস্কৃতি চালু করেছি। রবির নিজস্ব অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও গত বছর একটি অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।

এ বছর আমরা একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আহ্বান করেছি জুনের ১৫থেকে ১৭তারিখে এবং এর মাধ্যমে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বর্তমানে যে জ্ঞান-চর্চা হচ্ছে সেই জ্ঞানের বিনিময় হবে। এ বিনিময় আমাদেরকে সমৃদ্ধ করবে এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করতে সহযোগিতা করবে। এর বাইরেও শিক্ষার্থীরা যেন সঠিকভাবে তাদের পড়াশোনটি করতে পারে সেজন্যে রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সময়সীমা বর্ধিত করে রাত ৮.৩০মিনিট পর্যন্ত খোলা রেখেছি এবং ছুটির দিনেও লাইব্রেরি খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছি।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন নয়, আমাদের দেশের যে কোনো সংকটে ও দুর্যোগে অবদান রাখা। এ সময় রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মো: সোহরাব আলী উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ এ সভায় অংশীজন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে,সুশাসন,সংস্কৃতি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত