জাতির জনকের নামে টুর্নামেন্টে প্রয়োজন মেধা ও প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন। অথচ আমার টাকা ব্যয় করে জাতির পিতার নামে চলছে তামাশা। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর নামের এই টুর্নামেন্টের এই অবস্থা সত্যি মেনে নেয়া যায় না।
তৃণমূল থেকে ফুটবলার তুলে আনার বড় সিঁড়ি হতে পারত বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু বয়সভিত্তিক ফুটবলে আমাদের বয়স চুরির রীতি নতুন নয়। পরিকল্পনাবিহীন ফুটবলে শর্টকাটে সাফল্য লাভের আশায় অনেক আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদি এই ক্ষতির পথে পা বাড়িয়েছি আমরা।
বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের খেলোয়াড়েরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিশ্বমানে পৌঁছে যেতে পারে যদি তাদের প্রপার গাইড দেয়া হয়। হয়তো সময়টা খুব বেশি লাগবে। কিন্তু গোড়াতেই যে গলদ। বেশি বয়সী খেলোয়াড় খেলিয়ে সাময়িক সাফল্য পেলেও ভবিষ্যতের জন্য যে গর্ত খুঁড়েছেন, তাতে তো মুখ থুবড়ে পরতেই হচ্ছে।
চলুন না আমরাই ফুটবল উন্নয়নে পরিবর্তন শুরু করি মরিচাধরা ফুটবলকে একটু বাঁচিয়ে তুলি। তবেই বিশ্বকাপের আসরে আমারদের অস্তিত্ব, আমাদের অহংকার, লাল সবুজের পতাকা উড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববাসীকে পরিচয় করিয়ে দিবে নতুন করে। আর বুকে হাত রেখে প্রিয় দলের সমর্থক হয়ে বলবো – “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”।