জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিশুকে কুপিয়ে জখম 

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ২০:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে। সেই বিরোধের জেরে ১১বছরের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ সোমবার আহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

গত শনিবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর গ্রামে। আহত শিশুর নাম মুশফিকুর রহমান রাহিন (১১)। সে ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। 

এ ঘটনায় অভিযুক্তেরা হলেন-একই ইউনিয়নের মো: আব্দুল হাইয়ের দুই ছেলে মো: শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও মো; রফিকুল ইসলাম (৪৫)। শফিকুলের ছেলে মো: হুমায়ূন (২৬) ও স্ত্রী মোছা. আছমা আক্তার (৪৭)। রফিকুলের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৩৭)। 

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর এলাকার মজিবুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার শফিকুলসহ তাঁর ভাইদের সঙ্গে। এ অবস্থায় গত শনিবার মজিবুরের শিশুসন্তান মুশফিকুর রহমান রাহিন স্থানীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে অভিযুক্তেরা শিশুটির পথ আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। 

এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ায় শিশুটির একটি ডান হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কবজির হাড় ও রগ কেটে যায়। এ সময় শিশুটির ডাক চিৎকারে তার বাবা মজিবুর রহমান এগিয়ে গেলে তাঁর পিঠে এবং মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেটা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওরা যদি আমার অবুঝ ছেলেটিকে না মেরে আমাকে মারত, তাহলে আমার কোনো দুঃখ ছিল না। আমি এর বিচার চাই।’ এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দ্বন্দ্ব থাকলে বাবার সঙ্গে আছে। অবুঝ শিশুটির কী দোষ ছিল? এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তাঁরা। 

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে ঘরে তালাবন্ধ পাওয়া যায়। তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’