ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা

সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভূঁইয়াকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে সোনারগাঁয়ের নয়াপুর এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নয়াপুর বাজারে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আল আরাফাহ ব্যাংকে জমি বিক্রির টাকা জমা দেওয়া শেষে দ্বিতীয় তলা থেকে রাস্তায় পৌঁছালে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলুর ভাতিজা তায়েব শিকদারের নেতৃত্বে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে ৬ যুবক আসে। এক মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাকে হত্যা চেষ্টা করে। গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে যায় তারা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন। এলাকাবাসী জানায়, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু সমর্থক ও বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় উভয় পক্ষের মামলা দায়ের করা হয়। সেই থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ থেকেই গুলির ঘটনা ঘটতে পারে।

জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া জানান, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক চেয়ারম্যানের ভাতিজা তায়েব শিকদারের নেতৃত্বে ৬ যুবক এসে রাস্তার মধ্যে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে আমাকে হত্যা চেষ্টা করে। গুলি ছুড়ার এক পর্যায়ে দৌড় দেওয়ার কারণে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।

অভিযুক্ত তায়েব শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একজন ছাত্রলীগ কর্মী। আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামাজিক কর্মকাণ্ড করি। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে সম্মান করি। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। সেখানে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলো যাচাই করলেই সব পরিষ্কার হওয়া যাবে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ। তিনি চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি। গুলি ছুড়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ,গুলি,হত্যা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত