ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গোপালগঞ্জে ২ হাজার ফলের চারা বিতরণ 

গোপালগঞ্জে ২ হাজার ফলের চারা বিতরণ 

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন প্রকার ফলের চারা বিনামূল্যে বিতরণ ও রোপন পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) কাশিয়ানী উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের দীঘরগাতী রামকৃষ্ণ সনাতন ভজন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প ফলের চারা বিতরণ ও রোপন পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এম.এম আবুল হোসেন, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম।

গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এমএম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এইচএম খায়রুল বাসারসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

রোপন পদ্ধতির উপর অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে মাহামুদপুর ইউনিয়নের ৪০০ কৃষক ও কৃষাণী অংশ নেন। পরে অতিথিরা ৪০০ কৃষক ও কৃষাণীর প্রত্যেকের হাতে নারকেল, আম, পেয়ারা,লেবুর ৫টি করে চারা তুলে দেন।

গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এমএম কামরুজ্জামান বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় রোপনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল নারকেল, আম, পেয়ারা ও লেবুর ২ হাজার চারা ৪০০ কৃষক এবং কৃষাণীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এসব চারা তারা বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করবেন। এ ব্যাপারে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। লেবু ৬ মাসের মধ্যে ফল দেবে। এছাড়া আম, পেয়ারা ও নারকেল ২ থেকে ৪ বছরে ফলন দেবে। কৃষক ও কৃষাণীরা এইসব গাছের ফল খেয়ে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করবে। বাড়তি ফল তারা বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন। এই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প থেকে চারা বিতরণ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

দীঘরগাতী গ্রামের পরেশ বালা বলেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বিতরণকৃত ফলের চারা উচ্চ ফলনশীল। এই চারার গুনগতমান বেশ ভাল। আমি ৫টি ফলের চারা পেয়েছি। প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে এই চারার রোপন পদ্ধতি আয়ত্ত করেছি। কৃষি গবেষণার পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ির আঙ্গিনায় এই চারা রোপন করে পরিচর্যা করব। আশা করছি এই চারা থেকে নারকেল, আম, পেয়ারা ও লেবুর ভাল ফলন পাব।

কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, কাশিয়ানী উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়ন বিল বেষ্টিত একটি ইউনিয়ন। বিল এলাকার মানুষ ফল থেকে পুষ্টি তেমন পান না। কারণ এখানে ফলের গাছ রোপনের সুযোগ কম। তাই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এই ইউনিয়নে ফলের চাষাবাদ সম্প্রসারণের জন্য ২ হাজার ফলের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এর মাধ্যমে এই ইউনিয়নের বাড়ির আঙ্গিনায় ফলের চাষাবাদ সম্প্রসারিত হবে। এসব গাছে উৎপাদিত ফল খেয়ে বিল এলাকার মানুষ পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পুরণ করতে পারবে। এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিটকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ফল,চারা,বিতরণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত