ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাউখালীতে সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রণোদনার চাল না পাওয়ার অভিযোগ

কাউখালীতে সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রণোদনার চাল না পাওয়ার অভিযোগ

কাউখালীতে সরকারি চাল তছরুপ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমুদ্রগামী জেলেদের ৬৫ দিনের সাগরে মাছ ধরা নিষেজ্ঞার সময় সরকারি ভাবে সমুদ্রগামী জেলেদের পুর্ণবাসনের জন্য প্রনদনা স্বরূপ প্রতিবছর খাবারের জন্য ৫৬ কে.জি করে চাল সহায়তা করেন সরকার। এর মধ্যে জানা যায় ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ২০২১ সনে ৪৯ জন সমুদ্রগামী জেলেদের তালিকা ভুক্ত করা হয়। সেই থেকে তারা সরকারি নিষেজ্ঞার সময় সরকারি প্রনদনা স্বরূপ ৫৬ কে.জি করে চাল পেয়ে আসছিলেন। হঠাৎ করে এই মাসে সরকারি সহায়তা ৫৬ কে.জি করে চাল অন্য সকল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হইলেও ঐ ইউনিয়নের ১৯ জন সমুদ্রগামী তালিকা ভূক্ত জেলেদের চাল প্রদান করা হয়নী বলে অভিযোগ করেন মেঘপাল গ্রামের সাহারুল হাওলাদার, খোকন খান, সাকায়েত শেখ সহ বঞ্চিত সমুদ্রগামী জেলেরা। সমুদ্রগামী জেলে গনেশ দাস জানান চেয়ারম্যানের কাছে চাল যাইতে গেলে চেয়ারম্যান বলেন, চাল বিতরন করা হয়ে গেছে। পরে বঞ্চিত সমুদ্রগামী জেলেরা গত ১৩ জুন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে চাল পাইবার জন্য লিখিত আবেদন করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন ঐ ইউনিয়ন সহ উপজেলায় কোন সমুদ্রগামী জেলে নেই। তবে অনেক বছর আগে সমুদ্রগামী কিছু জেলে ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তালিকা ভুক্ত করে জেলেদের সহায়তা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ জানান, বর্তমানে মূলত আমার ইউনিয়নে সমুদ্রগামী কোন জেলে নাই। পূর্বের তালিকা অনুযায়ী ৪৯ জনার নামে বরাদ্ধ আসে। যার অধিকাংশ জেলে একই এলাকার হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে উপজেলা মৎস্য ও নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের গরিব জেলেদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।

১ নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাকায়েত শেখ মৎস্য কর্মকর্তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন এই ইউনিয়নের ১৭ টি সমুদ্রগামী ট্রলার ছিল নানা ঝামেলা ও লোকসান এর কারণে কিছু ট্রলার মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে।বর্তমানে ছয়টি ট্রলার সরকার নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত নিয়মিত সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষিদ্ধ সময় সরকারের দেওয়া প্রণোদনার চাউল না পেয়ে এই সমস্ত পরিবার অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কাউখালী,প্রণোদনা,চাল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত