ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা কল্পনাতীত’

‘প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা কল্পনাতীত’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের একজন মানুষকেও দরিদ্র দেখতে চান না তিনি। এ জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। অসহায় সহায় সম্বলহীন মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা কল্পনাতীত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর কোন সরকারই এসকল অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেনি বা তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

শনিবার দুপুর ১২টায় তার নির্বাচনী এলাকার পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম মোস্তফা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম সেবা ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. তরুন কান্তি সিকদার প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাকা ভবন তৈরী করে তাদের হাতে দলিল তুলে দিয়েছেন। বিনা পয়সায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে, করা হয়েছে সুপেয় পানির সু-ব্যবস্থা। করোনাকালীন সময়ে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হয়েছে যা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলোও করতে পারেনি। ১০৯ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ পাচ্ছে অস্বচ্ছল, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রতিবন্ধী, বেদেসহ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ নারী-পুরুষ-শিশু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনাই হচ্ছে কাউকে পিছে রেখে নয়-সকলকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমান।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, নারীদের আর্থিকভাবে স্বর্নিভর করে গড়ে তোলা, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা এবং মুরগী-হাঁস-ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের মাধ্যমে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। পিরোজপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫ শত ৩০ জন দরিদ্র পরিবার সরাসরি এই প্রকল্পের সুফলভোগী হিসেবে উপকৃত হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে ১শত জন ভেড়া পালন সুফলভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। এদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেককে ৩টি করে ভেড়া, ৭৫ কেজি ৬শত গ্রাম ভেড়ার খাবার, ১টি করে ভেড়ার ঘর এবং ভেড়ার রোগ বালাই ও চিকিৎসার জন্য ঔষধ ও ভেকসিন দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ,রেজাউল,প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত