নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৯৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে বিদেশে অবস্থান করা উপজেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি ফখরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাহমুদুল হকের ছেলে আলমগীর হোসেনের (৪০) করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। এতে ফখরুল ইসলামসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে দু-আড়াইশ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় বাজারে যাওয়ার পথে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে তারা মারধর করেন।
মামলার ১ নম্বর আসামি বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম টেলিফোনে বলেন, ‘স্ত্রীর চিকিৎসার কাজে গত ৫ জুন থেকে আমি দেশের বাইরে অবস্থান করছি। ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মেরে এখন আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা গায়েবি মামলা করেছে। নিশ্চয়ই আদালতে এর সুবিচার পাবো।’
বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন (৪৮), পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেল (৩৫) ও ছাত্রদলের সাইমুনকে (২৩) পিটিয়ে জখম করেন। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেন (৩২) আহত হন। এখন উল্টো আমাদের দলের ৯৩ জনের নামে ভুয়া মামলা করা হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।’
এদিকে নেতাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তার বক্তব্য সত্য নয় দাবি করে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে, কলেজ গেট ও হাসপাতাল রোডে তিন দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনসহ পাঁচজন আহত হন।