মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ছেলে নবীনুর দেওয়ানকে প্রধান করে আট জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন আদিত্য।
শনিবার মেসার্স সরকার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজু আহম্মেদ হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সেটি রেকর্ড করা হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধার মানিক ঘাট থেকে পদ্মা নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বাল্কহেড থামিয়ে চাঁদাবাজি করে চেয়ারম্যান ছেলে নবীনুর রহমান। তার নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল জলদস্যু বাহিনী। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে স্পীডবোর্ড ব্যবহার করে নদীতে জোরপূর্বক বালুবাহী বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সুকানীদের মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।
মের্সাস সরকার এন্টারপ্রাইজের প্রো. রাজু আহম্মেদ বলেন, আমি একজন বৈধ বালু ব্যবসায়ী। সিরাজগঞ্জ উপজেলার সরকারি ইজারা প্রদানকৃত বালু মহল থেকে বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারের মেঘা প্রকল্পে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু সরবরাহ করে আসছি। হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের ছেলে আমার বৈধ বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে আমার বাল্কহেড আটকিয়ে রাখা হচ্ছে, এমনকি আমার লোকজনদের মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে আমি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে নবীনুর দেওয়ান বলেন, আমার দাদা ছিল জমিদার আমি কেন চাঁদাবাজি করতে যাব। রাজনৈতিক কিছু ঝামেলা অথবা এলাকার কিছুলোক আমাকে ফাঁসিয়ে দওয়ার জন্য এগুলো করছে।
এ বিষয়ে পাটুরিয়া নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। একজন এসআই এ ঘটনা তদন্ত করছেন।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।