ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র স্মৃতির তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামিলন

সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র স্মৃতির তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামিলন

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে 'দ্যা আর্ট অব সোসাল চেইঞ্জস' শীর্ষক ৩ দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে কনফারেন্স ৫টি ভ্যেনুতে টেকনিক্যাল সেশন শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়।

রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে কী-নোট স্পিচ প্রদান করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বসু ও ব্রাক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত। দেশ-বিদেশ থেকে আগত অতিথি আলোচকগণ রবির এ আয়োজনকে ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।

প্রফেসর পবিত্র সরকার বলেন, কবিগুরুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কনফারেন্সটি একটি মাইলফলক হয়ে রইলো। প্রফেসর সুজিতকুমার বসু বলেন, রবির প্রথম কনফারেন্স বিশ্বভারতীর চেয়ে কোন অংশেই কম ছিলনা বরং কিছু ক্ষেত্রে রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হয়েও একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ প্রদানে সক্ষম হয়েছে। প্রফেসর আইনুন নিশাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে শিক্ষা ও গবেষণার পরিধিকে বিস্তৃত করা এবং এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে রবি।

এতো বড় পরিসরের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বক্তাগণ রবির ভিসি প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি রবির ভিসিকে অভিনন্দন জানান। সেইসাথে বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক-গবেষকগণকে শুভেচ্ছা জানান।

রবির লক্ষ হচ্ছে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দান ভাষা, শিল্প ও সাহিত্য এই বিষয় গুলো প্রাধান্য দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্দেশ্য নিয়েই রবিকে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আরো বলেন, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ব্যাতীত একটা জাতি কখনো প্রযুক্তিতে এগোতে পারে না ও উদ্ভাবন করতে পারে না। সভাপতির বক্তব্যে রবির ভিসি প্রধান অতিথি, কিনোট স্পিকার, শিক্ষক-গবেষকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ঘোষণা করেন যে এভাবে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে প্রতি বছর অনেক বড় পরিসরের কনফারেন্স আয়োজন করা সম্ভব। রবি আমারণ শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির যুথবদ্ধতায় একটি সৃজনশীল গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করতে চাই।

উল্লেখ্য, ১৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত গবেষকরা তাদের গবেষণা উপস্থাপন করেন। কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় কনফারেন্স ‘অন দি আর্ট অব সোস্যাল চেঞ্জেস’ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজনের ঘোষনা দেন।

সিরাজগঞ্জ,আন্তর্জাতিক,কনফারেন্স
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত