অফিস টাইমে প্রাইভেটে রোগী দেখছেন কর্ণেল মালেক মেডিকেলের ডাক্তার

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১৯:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  ‌দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ

সরকারি ডিউটি চলাকালীন প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ডাক্তার উজ্জল মিয়ার বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেখা যায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় অবস্থিত নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন তিনি। রোগী হয়ে এ প্রতিবেদক তার চেম্বারে প্রবেশ করলে তাকেও ব্যবস্থাপত্র দেন ওই চিকিৎসক।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিজের মতো করেই স্বাধীনভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করে যাচ্ছেন তিনি। তার পরও রহস্যজনভাবে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রতিদিন হাসপাতালের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে মাসিক সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছেন না তিনি।

কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন হাজিরা দেয়ার পর পরই চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট চেম্বারে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন। এ নিয়ে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে তিনি দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেখানে প্রতিদিন ডিউটি করার কথা,  সেখানে তিনি তা না করে নিয়মিত রোগী দেখছেন দি নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে।

এ বিষয়ে ডাক্তার উজ্জল মিয়া বলেন, আমি অসুস্থ্যতার জন্য হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়েছি। অসুস্থ্যতার জন্য সরকারি হাসপাতালের রোগী দেখতে অপারগ হয়ে কিভাবে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখছেন জানতে চাইলে তার কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, ডা. উজ্জলে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সে ২১ জুন ছুটির জন্য আবেদন করেছে। বর্তমানে তার ডিউটি চলমান আছে। কোন ডাক্তার ছুটিতে থাকলেও অফিস টাইমে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। ডাক্তার উজ্জলের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।