পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ কমী তাফসির আহম্মেদ মনা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রুপপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রূপপুর মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে তারা। উত্তপ্ত পাকশী ও রূপপুর এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হলেও বিক্ষোভ ঠেকাতে বেসামাল হয়ে পড়ে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করলে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলার পাবনা - কুষ্টিয়া মহাসড়কের ব্যস্ততম সড়কের দুপাশে অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। মহাসড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশের হস্তক্ষেপে দেড় ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আসামি দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।
নিহত মনার ভাই যুবলীগ নেতা সৌরভ (ওরফে হাতকাটা টুনটুনি) জানান, মনাকে হত্যার পর থেকে পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের বাড়ি পাহাড়া দিচ্ছে। আসামি ধরতে পুলিশ সহযোগীতা না করে উল্টো আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।
নিহতের মা বলেন, এর আগে আমার বড় ছেলে টুনটুনির হাত কেটে নিয়ে পুরো পাকশী জুড়ে আনন্দ মিছিল করা হয়েছিল। আজও তার বিচার পায়নি। এবার আমার ছোট ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের এমপি মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তাফসির আহম্মেদ মনা নামে এক ছাত্রলীগ কমী নিহত হয়। হত্যাকাণ্ডের জের ধরে রোববার ( ১৮ জুন) রাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্বজনরা মনা হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন (চমন-মানিক গ্রুপের) মানিক নামে এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।