কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেছেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে হেরে যাওয়া এবং সম্মেলনে নেতা নির্বাচিত হতে না পারা কিছু জনবিচ্ছিন্ন সহযোদ্ধা বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের সিলং কানেকশনের আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন। তাদের এ হীন ষড়যন্ত্র কোনদিনই সফল হবেনা। স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৩ বছর পর আমার হাত ধরেই নৌকার বিজয় হয়েছে।
বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই বাচাই করে আমাকে কক্সবাজার-১ আসনে নৌকার মাঝি করেছিলেন। পরবর্তীতে আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে চকরিয়া পেকুয়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট ভিক্ষা করে নৌকাকে বিজয়ী করেছি। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর আমি এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছি চকরিয়া পেকুয়ার মাটি এখন আওয়ামী লীগের ঘাটি। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পুনরায় আমাকে নৌকার মাঝি করলে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অতীতের ন্যায় আবারো এ আসনটি আমি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকাল ৩ টায় চকরিয়া পৌর শহরের সিষ্টেম কমপ্লেক্সের এরিস্টো ডাইন হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
সাংসদ জাফর আলম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো, সাইফুদ্দিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু মুছার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ায় স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৪৩ বছর পর নৌকা প্রতীক নিয়ে জাফর আলম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিএনপির দূর্গ তকমা পাওয়া চকরিয়া-পেকুয়ার রাজপথ এখন ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত। সাংসদ জাফর আলমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জনসভাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। সর্বোপরি কক্সবাজারে এই আসনটি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংসদ জাফর আলম যখনই তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে এই জনপদকে আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে পরিণত করেছেন ঠিক তখনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গুটিকয়েক জনবিচ্ছিন্ন নেতাকর্মী দলের ভেতর বিভক্তি সৃষ্টির পায়তারা করছেন। তাদের এই অব্যাহত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংসদ জাফর আলম ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে তাঁর গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা ও দলে সুসংহত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, আমরা মনে করি তাদের এসব অপচেষ্টা ও অপপ্রচারে সরকার বিরোধী স্থানীয় শক্তির যোগসূত্র থাকতে পারে। জনবিচ্ছিন্ন কোন্দল সৃষ্টিকারী নেতাদের সাথে শিলং কানেকশন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত।
বক্তারা আরও বলেন, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তথা নৌকা প্রতীকের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সাংসদ জাফর আলমের কোন বিকল্প নাই। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন ও আস্থা রয়েছে। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম।