ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দীন প্রামানিকসহ দুই ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এই রায় দেন।
হেলাল উদ্দীন জেলার পীরগঞ্জ থানায় পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। মামলার অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুইপার মানিক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের বাদল দাসের ছেলে। তবে সুইপার মানিক পলাতক রয়েছে, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালতের রায়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় এসআই হেলাল উদ্দিন প্রামানিক ও তার সহযোগী সুইপার মানিক দাসকে দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ যাবজ্জীবন কারাদন্ডে কারাদণ্ড করেছে। উক্ত আসামী দ্বয়কে ও আরো একটি ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদ-সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
মামলার আরেক আসামী আসামী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে নির্দোষ খালাস প্রদান করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের গত ১৯ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পীরডাঙ্গী কবরস্থান থেকে মাদকবিক্রেতা আকিমুল ও তার স্ত্রীকে আটক করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সদস্যরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এসআই হেলাল উদ্দীন তাদের ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাজা সাপ্লাই করে থাকেন। সেদিন থেকেই হেলালের উপর নজরদারি শুরু করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
পরে সেখানে ঠাকুরগাঁও ডিবি'র একটি দল অভিযান চালিয়ে আট হাজার পিস ইয়াবা, ফেনসিডিল ও দুই কেজি গাজাসহ হেলাল ও তার সহযোগী সুইপার মানিককে আটক করে।
পরে ডিবির পরিদর্শক রূপ কুমার সরকার বাদী হয়ে আটক হেলাল ও মানিকের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
