ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশ নার্সিং শিক্ষাথীকে পিটিয়ে হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশ নার্সিং শিক্ষাথীকে পিটিয়ে হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াউফিারি কাউন্সিল থেকে সদ্য বিএসসি নার্সিং এ পাশকৃত রুপালি পারভিন রুপা (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর উপর হামলা করে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাতের কব্জি ও কোমরের হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে আমিন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি মামলা নিতে গরিমসি করে। শেষে গত ১৩জুন আদালতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ভূক্তভোগী। তাদের অভিযোগ আদালতে মামলা করেও ৭দিন অতিবাহিত হলেও এখন পযন্ত পুলিশের ভূমিকা চোখে পড়েনি ভূক্তভোগীর। তারা পুলিশের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান।

এসব বিষয় নিয়ে বুধবার বেড়া আইনশৃংখলা মিটিং বেড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল হোসাইন উত্থাপন করলে উপজেলা নিবাহী অফিসার মো:সবুর আলী ওসিকে এর ব্যাখ্যা দিতে বলেন, এ সময় আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, জমিজমা বিষয় নিয়ে দুপক্ষই মামলা করেছে। আসামীরা জাামিনে রয়েছে। তদন্ত চলছে, শেষ হলে আদালতে চাজসীট দেয়া হবে। রুপালি পারভিনের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, একই ঘটনা নিয়ে দুটি মামলা হয় না।

গুরুতর আহত বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াউফিারি থেকে বিএসসি নার্সিং এ সদ্য পাশকৃত রুপা জানান, ওই দিন সকালে বাড়ির পাশে আমার মাকে কে যেন ডাকতে আসে তার বোনকে মেরে ফেললো। ওমনি মা বাড়ির পাশেই খালাদের বাড়ির দিকে দৌড়ে যায়।

আমিও মায়ের পিছে পিছে যাই। গিয়ে দেখি খালাকে মারপিট করেছে। আমি তাদেরকে বলি সোহাগ কাকা এরকম কইরেন না কি হইছে বিস্তারিত শুনি, সোহেল ভাই, ফরিদ ভাই আপনারা কাদের সাথে ঝামেলা হইছে। বলেন শুনি, এত বড় বড় লাটিসোটা নিয়ে আসছেন। কাদের মারবেন ? এটা বলতে না বলতেই তারা ৩জন মিলে আমাকে গরুর মত পিটিয়েছে। আমাকে ঠেকাইতে আমার মা এগিয়ে এলে মাকেও এলোপাতাড়ী মারপিট করে। খালা গেলে খালার হাতের কব্জিতে কোপ দেয়। খালাতে লাথি দিয়ে দেখে মরছে কিনা।

আনছার হাসুয়া দিয়ে ভাবীকে কোপ দেয় আনছার। তারা বেদম মারপিট করে পায়ের পাতা পর্যন্ত ফেতা ফেতা করে ফেলেছে। এলাকার মানুষ সব দেখেছে কোন বিচার পাচ্ছি না কারও কাছে, থানা পুলিশ, কোট সব তারা আটকে রেখেছে। আমি একজন শিক্ষার্থী। সবে মাত্র পড়ালেখা শেষ করে বাড়ি আসলাম। একটু বাবা-মার নিকট থাকতে আর আমার এই অবস্থাটা করে দিল। আমি গরীব বাবা-মার অবিবাহিত মেয়ে। স্বপ্ন ছিল আমি চাকরি করবো বাবা-মাকে দেখবো আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেল বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

জানা গেছে গত ৬ জুন মঙ্গলবার সকালে জমিজমা বিরোধের জের ধরে এলাকার চিহ্নিত সোহাগ, সোহেল, আনসার, রমজানদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাবনার আমিনপুর থানাধীন আহমেদপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইউনুছ শেখের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়িতে পুরুষেরা কেহ না থাকায় নারীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ম্রাপিট করে। এ সময়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াউফিারির শিক্ষার্থী রুপালি, আকিরন নেছা ও খালা জুলেখা ও নাসিমাসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়।

এ বিষয়ে আহম্মেদপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাজার থেকে খবর পেয়ে এসে দেখি ঘটনা সত্য। ইউনুছের স্ত্রী ও আম্মাকে মারা হইছে। পড়ে রইছে রক্ত নদী অবস্থায়। মারামারি হয়, বিগত দিনেও হইছে, কিন্তু এভাবে মহিলাদের গায়ে হাত দেয়া মারপিট করা দুঃখজনক। এভাবে তারা মারপিট করে অবিবাহিত মেয়ে রুপাকে গুরুতর জখম করেছে। পরে একজন ইউপি সদস্য হিসাবে আমার যা করার করলাম। তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করলাম। তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে যেন তারা সুষ্ঠ বিচার পান এই প্রত্যাশা করছি।

প্রতিবাদ,বাংলাদেশ,নার্সিং
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত