নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভায় গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় সুবিধাভোগীদের ওপর হামলা ও মারপিটের ঘটনায় পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন)দিনগত রাত ১১টার দিকে আহত মিঠুনের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মর্জিনা বেগম পৌরসভার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের মৃত ভুট্ট আলীর স্ত্রী।
মামলার আসামিরা হলেন, মেয়রের আপন ভাতিজা উপজেলার ছাতারভাগ গ্রামের বকুল হোসেন মন্ডলের ছেলে সাগর মন্ডল (৩০), ব্রক্ষ্মপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে রহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং তার ছেলে নিশান প্রামানিক (২২), নীলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মো. রুবেল (৩৫) ও হলুদঘর জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত হেফাজুর রহমানের ছেলে মো. মিলন (৩৮)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন মর্জিনা বেগম। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
উল্লেখ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নলডাঙ্গা পৌরসভার ভিতরে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ৪নং ও ৫নং ওর্য়াডের গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরন চলছিল। এসময় লাইনে দাঁড়িয়ে চাল গ্রহণ করছিলেন প্রায় তিনশতাধিক মানুষ। এ অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডের সোনাপাতিল মহল্লার বাসিন্দা শাহিন, জেলার, রকি,নয়ন, মিঠুন, রানা,
নলডাঙ্গার রাজিব, আশিক, পুর্ব সোনাপাতিল মহল্লার আলমঙ্গীর, মনিরুল, হলুদঘর মহল্লার স্বাধীনসহ অন্তত ২০ জন লাইনে দাঁড়ানো সুবিধাভোগীকে হাতুরি, বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে পৌরসভা থেকে বের করে দেন মেয়র মনিরুজ্জামানসহ তার সহযোগি রহিদুল, নিশান, মিলন, রুবেল, সাগর ও আরও অনেকে। এ অবস্থায়
লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হন তারা। এসময় ক্ষুরের আঘাতে মনিরুল ইসলামসহ চারজন মারাত্মক আহত হন। আহতদের ৪জনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।