পাবনায় দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মানববন্ধন
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ১৭:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
পাবনা প্রতিনিধি
নীরব ঘাতক বায়ুদূষণ, ধুলাদূষণ ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে পাবনায় মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে বে-সরকারি সংস্থা গ্লােবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
একাত্তর টিভি ও বাংলা নিউজের পাবনা প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান। মানবন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গ্লােবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট একুশে টিভি ও মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রাজিউর রহমান রুমী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, গাজী টিভির পাবনা প্রতিনিধি ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি, ঢাকা পোস্টের প্রতনিধি রাকিব হাসনাতসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পথসভায় বক্তারা বলেন, বায়ুদূষণ বর্তমান সময়ে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। বি্বে স্বাস্থ্য সংস্থা (যিড়) হু এর মতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাক্ষ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মুত্যুবরণ করছেন। এছাড়া বায়ুদূষণের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে পৃথিবী মহা বিপর্য়য়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি গবেষনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর বায়ুরমান ৬ থেকে ২৫ গুন খারাপ হয়েছে। প্রতিবছরে ঢাকা মহানগরীর বায়ুতে প্রায় ৫০ টন সীসা যুক্ত হচ্ছে। এই বায়ুদূষনের কারণে হাঁপানি, হৃদরোগ, স্টোক, ফুসফুসের ক্যান্সার, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় এবং অকাল মৃত্যু হয়। অপর দিকে ধূলা মিশ্রিত বায়ু দ্বারা শাসকষ্ট, এলার্জি, চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আর শব্দধূষণের কারনে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু শ্রবণ ক্ষমতা ধ্বংস হচ্ছে। মানসিক ভারসাম্যতা বিনষ্ট হচ্ছে। শব্দদূষণের দ্বারা ফুসফুসে আক্রান্ত হচ্ছে, শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই প্রয়োজন ছাড়া গণপরিবহন, ব্যাক্তিগত পরিবহনে হাইড্রলিক হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
একই সাথে জন বহুল এলাকাতে উচ্চস্বরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচার মাইক বন্ধসহ দূষণ প্রতিরোধে সরকার সহ প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি ও দূষণের কারনে ক্ষতিকারক বিষয় গুলি নিয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে সকলকে এক সাথে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।