রংপুরে বিএমডিএ ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের  অবহিতকরণ সভা

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ১৮:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)"ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর)" শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা শনিবার সকালে  আরডিআরএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের  জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী।উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএ, রংপুর সার্কেরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, মোঃ হাবিবুর রহমান খান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: ওবায়দুর রহমান ,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রবিউল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক),এ ডাব্লিউ এম রায়হান শাহ, , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রেজাইল করিম ,বিএমডিএ নির্বাহী প্রকৌশলী মশিইর রহমান প্রমূখ ।

বিএমডিএ, রংপুর সার্কেরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খান জানান, রংপুরে ইআইআর প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৯ সালে। এরপর থেকে জেলার ১২০ কিলোমিটার খাল, ৬টি বিল, ৫০টি পুকুর পূণঃখনন করা হয়েছে। নদী ও খালে ৪টি ক্রসড্যাম, ৫টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

সেচের জন্য ৬৫টি বিদ্যুৎ চালিত এবং ৩০টি সৌরচালিত সেচযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি সেচযন্ত্রের সঙ্গে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বারিক পাইপ মাটির নিচ দিয়ে বসানো হয়েছে। এতে করে কৃষকের পানি ও ভূমির অপচয় রোধ হচ্ছে।

তিনি জানান, পূণঃখনন করা খালের দুই পাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ, হাঁস চাষ, মাছ চাষ ও পাট পঁচানোসহ বিভিন্ন গৃহস্থলির কাজ হচ্ছে। নদী-খাল খননের ফলে পানি নিস্কাশনের সুযোগ তৈরী হয়। এতে ১০ হাজার হেক্টর জলাবদ্ধ জমিতে এখন একাধিক ফসল চাষের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ফলে বছরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে; যার বাজারমূল্য ১২৫ কোটি টাকা। এছাড়া নদী, খাল-বিলের দুধারে ১ লাখ ৪৮ হাজার ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা লাগানো হয়েছে।

ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে আসায় এসব এলাকায় পাখ-পাখালির মেলা বসছে। এছাড়া নদী ও খালের দুপাড়ে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে নেপিয়ার ঘাস, কলা ও বিভিন্ন ধান-শাকসবজি চাষ করছেন।