ফেনীর সোনাগাজীর ওছমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় চার পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকাল দশটায় ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার রাত দশটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক আদেশে হঠাৎ অনিবার্য কারণ দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
রাতেই পরীক্ষা স্থগিতের কথা চাকরি প্রার্থীদের মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে শনিবার সকালে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগাদানা ইউনিয়নের তাকিয়া বাজার ওছমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি শূন্য পদের জন্য দুটি জাতীয় ও স্থানীয পত্রিকায় ১০মে প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
২৫ মে আবেদন পত্র জমা দানের শেষ তারিখ ছিল। চরটি পদের জন্য এর মধ্যে আয়া পদে তিনজন, নৈশপ্রহরী পদে তিনজন, অফিস সহায়ক পদে চারজন এবং ল্যাব সহকারি পদে পাঁচজন সহ মোট ১৫জন চাকরি প্রার্থী আবদেন পত্র জমা দেন। নিয়োগ কমিটির লোকজন ২৪জুন শনিবার সকাল দশটায় নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করে পরীক্ষার সকল প্রস্তুতিও গ্রগণ করেন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দিনভর চারটি পদের বিপরীতে দশলাখ টাকা ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলা হয়।
এছাড়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় তাকিয়া বাজারে লিফলেট (প্রচারপত্র) বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে নিয়োগ কমিটির লোকজন, চাকরি প্রার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে অস্বস্তি দেখা দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও নিয়োগ কমিটির সদস্যদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দেওয়ায় অনিবার্য কারণ দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিধি মেনে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। একটি কুচক্রি মহল নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তোলায় অনিবার্য কারণে সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. নাসির উদ্দিন বাহার অনিবার্য কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আমিন ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।