পেশাগত দক্ষতায় পুরস্কৃত হলেন এসআই সুদীপ কুমার গোপ

ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনে অবদান রাখায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ।

চলতি সপ্তাহে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় তাকে মে মাসের বিশেষ মামলা তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ওসির কাচে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও প্রাইজমানি প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।

পরে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা, পিপিএম এর হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন সুদীপ কুমার গোপ।

জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পুরস্কার প্রাপ্তির পর নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন রহস্য উদঘাটনের ডায়নামিক লিডার সুদীপ কুমার গোপ। মুহূর্তেই সেবাপ্রাপ্তি, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শুভেচ্ছা জানান তাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে নেত্রকোনা জেলার কলমা কান্দা উপজেলা বাজার এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত সনাতন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুদীপ কুমার গোপ।

২০১২ সালে তিনি রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির বেসিক ট্রেনিং গ্রহণের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্রাপুর থানায় কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে দু’বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের পর রমনা মডেল থানা, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন থানা হয়ে বর্তমানে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সুদীপ কুমার গোপ ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়া ও সাংস্কৃতিক কাজে নিবেদিত ছিলেন। নিজেকে অগণিত সামাজিক কাজে নিয়োজিত করেছেন এবং দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সহকর্মী ও সেবাপ্রার্থীদের জন্য কাজ করে সাধারণ মানুষসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার নন্দিত হয়েছেন।

গত বছর সাভারে ল্যান্ড সার্ভে ও সেটেলমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে সাভারে আসেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এসিল্যান্ড আবু বকর সিদ্দিক। ২৪ অক্টোবর বিকেলে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকা যান এবং রাতে সাভারে ফিরে সিএন্ডবি এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।ছিনতাইকারীরা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আলোচিত এই ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন সুদীপ কুমার গোপ।

এছাড়াও কর্মস্থল সাভার ও আশুলিয়ায় দায়ের হওয়া অনেক ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে একের পর এক সাফল্যে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।