বরগুনায় ক্রয়কৃত জমিতে করা দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক মালা মাল ফেলে দিয়ে দোকান দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে তাজ হোটেল মালিক হারুনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার বিচার দাবি করে রবিবার (২৫ জুন) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক জাফর হোসেন ও তার ক্রয়কৃত জমির মালিক গোলাম রসুল।
বুধবার (২১জুন) সন্ধ্যায় বরগুনার সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ চৌমুহনী নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক জাফর হোসেন অভিযোগ করেন, আমি রায়ভোগ চৌমুহনী নতুুন বাজারে পাঁচ বছর আগে গোলাম রসুল ও মুস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ওই জমি ক্রয় করি। তার তিন বছর পর সেখানে একটি টিনসেট বিল্ডিং দোকান ঘর উত্তোলন করি।
বুধবার সন্ধ্যয় আমি দোকানের বাইরে থাকাকালে স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল, তাজ হোটেলের মালিক হারুন,দুলাল সহ ১০/১২ জন লোক এসে আমার মিস্ত্রির কাজ বন্ধ করে তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর তাকে মারধর করে বের করে দিয়ে দোকানের মালামাল ভেঙে ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে বরগুনা সদর থানার পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে দোকান থেকে বের করে দোকানটি তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক জাফর হোসেনের ক্রয়কৃত জমির মালিক মো. গোলাম রসুল বলেন, পাঁচ বছর আগে আমরা ওই জমি দোকান মালিক জাফর হোসেনের কাছে বিক্রি করেছি। তিন বছর যাবত তিনি সেখানে স্যানিটারি ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ করে বাবুল, হারুন ও দুলালরা লোকজন নিয়ে এসে সন্ত্রাসী হামলা করে। তারা তাদের ভাগ্নে পিবিআইর এক এসপির প্রভাব খাটিয়ে এমনটা করছে। তাদের কালো টাকার প্রভাবে পুলিশ এই অনৈতিক কাজের সাহায্য করতে পারেন বলে জানান।
এ বিষয় অভিযুক্তদের মধ্যে বরগুনার তাজ হোটেলের মালিক মো. হারুন বলেন, আমরা জোরপূর্বক কোন দোকান দখল করিনি। ওই জমি আমাদের তাই সেখানে গিয়েছি এবং এ নিয়ে আমরা আদালতে মামলাও করেছি।
বরগুনা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, সহিংসতার শঙ্কায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উভয়পক্ষকে দোকান থেকে সরিয়ে দিয়ে তালা দিয়েছি। কাউকে জোরপূর্বক দখলের সাহায্য করেনি।
বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস সালাম বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। আর আদালতে মামলা হলে সেটি আদালত বুঝবে।