আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে ঈশ্বরদীর বাজারগুলোতে কেজিতে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা।
ঈশ্বরদী উপজেলায় এক দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বাজারে এখন কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আগের দিন রবিবার (২৫ জুন) হাট-বাজারে কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
সোমবার ( ২৬ জুন) ঈশ্বরদী বাজার ও গ্রামের হাট-বাজারে কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সোমবারে ঈশ্বরদী বাজারে পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বেচাকেনা হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। মঙ্গলবার সকালে ১৪০ টাকা কেজি আর বুধবার দুই দিনের ব্যবধানে সকালে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার আড়মবাড়িয়া বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রবিবার বাজার থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনেছি। আজ সোমবারে এসে দেখছি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সোমবারে ঈশ্বরদী পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে বুধবারে এসে শুনছি ২০০ টাকা কেজি। এটা কী মেনে নেওয়া যায়। প্রয়োজন এক কেজি বাধ্য হয়ে কিনলাম আধা কেজি।দাম বাড়ার কারণও জানতে পারলাম না। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ী যখন তখন ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অথচ দেখার কেউ নেই। ঈশ্বরদী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবেদ আলী বলেন, এক দিনে কাঁচামরিচের দাম ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রবিবার থেকে আজ সোমবার একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ এখন ৩০০ টাকা।
পাইকারি কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী নাজমুল হক বলেন, এ অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি কাঁচামরিচ আমদানি হয় বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চল থেকে। বৃষ্টিপাতে অনেকের মরিচের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই দাম বাড়ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী খোকন আলী জানান, বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তবে এতটা দাম বেড়ে যাবে ভাবতে পারিনি। বর্ষাকালে এমনিতেই কাঁচামরিচে দাম বাড়ে কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত শুরু না হতেই দাম বেড়ে গেলো এটা বুঝতে পারলাম না।
