ফেনীতে বিচারের দাবিতে ছেলে হারানো মায়ের আহাজারি

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ১৭:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  ফেনী প্রতিনিধি

নির্যাতিতদের সমর্থনে আর্ন্তজাতিক সংহতি দিবসে ফেনীতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (২৬ জুন) সকালে ফেনী রিপোটার্স ইউনিটির সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় বিচারের দাবিতে ছেলে হারানো মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে সভাস্থল। 

সারাদেশে গুমের শিকার হওয়ায় ব্যক্তিদ্বয়ের মা’দের নিয়ে সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ ও অধিকার, ফেনী’র আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন ফেনী রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সময় পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।

অধিকার, ফেনী’র ফোকাল পার্সন সাংবাদিক নাজমুল হক শামীমের সঞ্চালনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার কর্মী শেখ আশিকু্ন্নবী সজীব। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গুমের স্বীকার হওয়া যুবদল নেতা মাবুবুর রহমান রিপনের মা রৌশন আরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি রবিউল হক রবি, সাপ্তাহিক স্বদেশ পত্র পত্রিকার সম্পাদক এন এন জীবন, ফেনী রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ফেনীর সময়'র নির্বাহী সম্পাদক আলী হায়দার মানিক, বাংলাদেশ ইয়ুথ জানালিষ্ট ফোরাম ফেনী শাখার সভাপতি ও দৈনিক অজেয় বাংলা'র নির্বাহী সম্পাদক শাহজালাল ভূইয়া, সাপ্তাহিক স্বদেশকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর তানজিলা রহমান।

মানববন্ধনে গুম হওয়া যুবদল নেতা মাবুবুর রহমান রিপনের মা রৌশন আরা পরিবারের কাছে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন,

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হারালে তিনি অবশ্যই ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতেন। কিন্তু আমার মত অভাগা মা গুমের শিকার হওয়া ছেলের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ৯ বছরও মেলেনি বিচার। ৯ বছর আগে আমার ছেলে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপনকে আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হলেও মামলা নেয়নি থানা। আজও হসিদ পায়নি ছেলের।’ ছেলেকে ফেরত দেওয়াসহ রিপনের মত আর কোন ব্যাক্তি যেন গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার দাবিও জানান মা রৌশন আরা।

নির্যাতিতদের সমর্থনে আর্ন্তজাতিক সংহতি দিবসের মুল প্রবন্ধে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতিসংঘ প্রণীত নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে এবং এই কনভেনশন অনুমোদনকারী প্রতিটি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে একটি শ্বাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়েছে। সেই অনুযায় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) বিল ২০১৩’ জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। কিন্তু তারপরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে নির্যাতন ও নির্যাতনের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলছে। 

অধিকার ও মায়ের ডাক অবিলম্বে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, কনভেনশন এগনইষ্ট টর্চার এর অপশনাল প্রোটকল অনুমোদন এবং ২০১৩ সালের গৃহীত নির্যাতন বিরোধী আইনের পূর্ন বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে।