নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, ‘এক হাটের গরু জোর করে কেউ যাতে অন্য হাটে নিতে না পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা রেখেছি।
এরপরেও যদি কেউ এমন কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে ইজারাদারদের বলেছি, যাতে আমাদের জানানো হয়। ইতিমধ্যে আমরা ইজারাদারদের নিয়ে একটি মিটিং করেছি। আর ওই মিটিংএ আমি বলেছি, যদি এরকম কেউ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে গরু ডাকাতির মামলা করা হবে।’
সোমবার ২৬ জুন বিকেলে সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট পশুর হাট পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে একথা জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার জানান, ‘নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি হাটে নিরাপত্তার জন্য আমরা পুলিশ সদস্য রয়েছে। এখানে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য আমাদের নির্দেশনা মুলক একটি ব্যানার কিন্তু সব জায়গাতেই দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে কোন সমস্যায় এই ব্যানারে দেয়া নাম্বারে আমাদের সার্কেল অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।’
বিক্রেতা ও ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখানে যারা গরু বিক্রি করে টাকা জমা দিতে ব্যাংকে যাবে, তাদেরকে আমরা বলেছি যে পুলিশকে সাথে নিয়ে যাতে টাকা জমা দিতে যায়। ইজারাদারদের বলেছি যে, বিক্রেতাদের সমসময় সাহায্য করতে। যাতে কোন অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির খপ্পরে পরে সর্বশ্য খোয়াতে না হয়।’
এসময় অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আমির খসরু, অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার (অপরাধ) চাই লাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসানসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।