ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে নেত্রকোণা পুলিশের মতবিনিময়

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ২০:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  নেত্রকোণা প্রতিনিধি

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জেলার আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে নেত্রকোণা পুলিশের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২৬ জুন) বিকেলের দিকে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রাপথে নানা ভোগন্তিসহ দূর্ঘটনা ও অন্যান্য সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঈদের সময় সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ে। এ সময় যেমন চুরি ও দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়, তেমনি একশ্রেণীর দুষ্টু প্রকৃতির লোককে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাবাজিতেও লিপ্ত হতে শোনা যায়।

সড়কে দূর্ঘটনার জন্য সিএনজি চালিত অটোরিশাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী। পাশাপাশি বেপরোয়া গতিতে চালানো মোটর সাইকেলসহ নানা ধরনের যানবাহনের কারণেও দূর্ঘটনা ঘটে। সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলার সকল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এবং টহল বাড়ানো হয়েছে। 

তবে, নিজ নিজ জীবন ও মালামাল রক্ষার জন্য সকলকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া, সড়কে চাঁদাবাজিসহ যে কোন আইন-শৃঙ্খলাবিরোধী ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবগত করা প্রয়োজন। তাহলে পুলিশের পক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। 

তিনি বলেন, ঈদের জামায়াতকে কেন্দ্র করেও কোন কোন এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। এ ব্যাপারে   সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুরবানির পশু চুরি, ভারত থেকে অবৈধ পাচারসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী সকল কিছুর তথ্য জেলা পুলিশের হট লাইনে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। গত ঈদুল ফিতরের সময়কালে মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে জেলায় ১০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। এবার যেন সেরকম কিছু না ঘটে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। 

ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার জেলায় গত ১০ মাসে দায়ের হওয়া চোরাচালান ও অন্যান্য মামলার তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসময়কালে চোরাচালান মামলায় মোট ২২০ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৭৫ হাজার টাকা ম‚ল্যের ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল, চিনি ও কম্বল। গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, চোলাইমদ, টাপেন্ডাডল, ইনজেকশন ও ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয় ১ কোটি ২৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৫ টাকা ম‚ল্যের। জুয়া আইনে ২৮টি মামলা দিয়ে ১৬৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গরু ও গাড়ি চুরিতে ৩৬টি মামলায় ৩৫টি গরু ও ১১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ট্রাফিক আইনে ১৬ হাজার ৫৮৪টি মামলায় ১৫ হাজার ৫৬৩টি নিষ্পত্তি করে ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, সাহেব আলী পাঠান, মো: লুফুর রহমান, ডিআই- ১ মোঃ মিজান রহমান, সদর থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক সহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।