রংপুরে ১২০০ ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোতে ঈদুল আযহা জামাত

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ১৮:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

আগামী বৃহষ্পতিবার  বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে রংপুরে পবিত্র ঈদুল আযহা উদ্যাযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। জেলার ১২০০ ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

কর্মসূচী অনুযায়ী রংপুরের ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সকাল  ৮ টায়।  বৃষ্টি হলে রংপুরের ঈদের প্রধান জামাত হবে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রে  প্রথম জামাত হবে  সকাল ৮টায় এবং ২য় জামাত হবে সকাল ৯টায়। পুলিশ লাইন্স মাঠে ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

 এছাড়া, অন্যান্য ঈদের মাঠ ও মসজিদে প্রধান জামাতের সাথে সংগতি রেখে ঈদের নামাজের সময় সূচী নির্ধারন করা হয়েছে। মুন্সিপাড়া ঈদগাহ  ও মুলাটোল আলীয়া মাদ্রাসায় সকাল ৮ টায় এবং কেরামতিয়া জামে মসজিদে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হ্েব । এ

ছাড়া, শালবন মিস্ত্রিপাড়া জামে মসজিদে প্রথম সকাল সাড়ে ৮টায়, মন্ডল পাড়া বড় ঈদগাহ ও রংপুর দামুদরপুর বড় ময়দান ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং সাতমাথা জামে মসজিদ ও  ধাপ ষ্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ, নিউ আদর্শপাড়া ,বাবুখাঁ ঈদগাহ মাঠ ও খটখটিয়া জামে মসজিদে সকাল ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর সদর উপজেলা ও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে এবং পীরগাছা কারবালা মাঠ, তারাগঞ্জ চৌপথী ঈদগাহ ও গঙ্গাচড়ার পাইকান জামে মসজিদে সকাল ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, গঙ্গাচড়া ও পীরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বদরগঞ্জের চান্দামারী কারামতিয়া ঈদগাহে ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার প্রায় ৬ হাজার মসজিদে ঈদজামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭৫টিসহ জেলার ১২০০ ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোনো কোনো মসজিদে ছিল একাধিক ঈদ জামাতের ব্যবস্থা।

দেশের অন্যান্য স্থানের মত বিভাগীয় নগরী রংপুরে ঈদ উৎসব উদযাপনে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ঈদ জামাতে বিশেষ মোনাজাত এবং হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু সদনগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন। এবং সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক ও সড়ক দ্বীপ সমুহ জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা পতাকাদিয়ে সজ্জিতকরণ।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচিতে রয়েছে- হাসপাতাল-এতিমখানা, কারাগার ও শিশু পরিবার ও এতিমখানা গুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।