ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদে পর্যটনে আশাহত কক্সবাজারের ব্যবসায়ী

ঈদে পর্যটনে আশাহত কক্সবাজারের ব্যবসায়ী

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র শহর কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এবার ঈদে আশাহত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে শতভাগ পর্যটক না আসলেও ৬০ শতাংশ পর্যটক ভ্রমনে আসবেন। কিন্তু সেই আশাও পূরণ হল না তাদের। ছুটির তিন দিনে প্রতিদিন পর্যটক এসেছেন মাত্র ৪০ শতাংশের কম।

তারপরও ভ্রমণে আসা পর্যটক, কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের আনা-গোনায় সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠার উচ্ছাস।

শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সী গাল, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা মিলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের। সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘুরা-ফেরা, কিটকটে (বীচ ছাতা) বসে সাগর উপভোগ, সমুদ্রের নোনাজলে শরীর ভাসানো, বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়ার পিঠে চড়ে নিজের মতো ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এসব মানুষ। আবার অনেকেই এসব প্রিয় মুহুর্ত বন্দি করছেন ক্যামেরায়।

সৈকতে নিয়োজিত জেলা প্রশাসনের কর্মী বেলাল হোসেন জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকতে অনুমানিক ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। যার মধ্যে অধিকাংশই পর্যটক। অন্যরা কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ।

কক্সবাজার ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বেলাল আবেদীন ভুট্টো জানান, বৃহস্পতিবার ঈদ হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যটকের উপস্থিতি ছিল মাত্র ১৫ শতাংশের মতো। শুক্রবার তা বেড়ে ২৫-৩০ শতাংশ হয়েছে। শনিবার আরও একটু বেড়ে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি এসেছে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে পর্যটকের উপস্থিতি খুব বেশি থাকে না। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন ৫০-৬০ শতাংশ পর্যটক আসবেন। কিন্তু সেই আশাও পূরণ হয়নি। স্বাভাবিক ছুটিতে এর চেয়ে বেশি পর্যটক কক্সবাজার আসেন।

তবে আগামি ৫ ও ৬ জুলাই পর্যটক আগমন আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন, বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার পর্যন্ত আবাসিক প্রতিষ্ঠানের বুকিং ৪০ শতাংশের নিচে। এবার ঈদে এটা আশাহত পরিস্থিতি।

তারপরও আগত পর্যটকদের সাগরে গোসলসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারি পুলিশ সুপার শেহরিন আলম।

তিনি জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পোষাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোষাকেও দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, কলাতলীর আবাসিক জোন ছাড়াও পর্যটন স্পট ইনানী, হিমছড়ি, পাথুরে সৈকত পাতুয়ারটেকসহ অন্যান্য স্পটে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। গত ৩ দিনে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পর্যটন,আশাহত,ব্যবসায়ী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত