নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার এলাকার ত্রিশ চল্লিশ লাখ লোক এই ডিএনডি এলাকায় থাকে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ময়লাসহ এমন কোন বিষাক্ত ময়লা নেই যা এই পানিতে নেই।
তারা প্রধানমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস রাখেন আমাদের উপরও রাখেন। এটা যদি অপসারণ করা না হয় আমি তাহলে ওই ময়লা পানিতে নেমে অবস্থান ধর্মঘটে নেমে যাবো। আমি গলা পর্যন্ত পানিতে নেমে দাঁড়িয়ে থাকবো।
রোববার (২ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ ডিএনডি এলাকার পানি নিষ্কাশনের প্রধান পাম্প হাউস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রত্যাশা আছে কারণ পানিসম্পদ মন্ত্রী মহোদয় আমাকে কথা দিয়েছেন। বলেছে কয়েকটা দিন সময় দিন। নাহলে আমি নিজে যে যে এলাকায় পানি থাকবে সেখানে ময়লা পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানাবো।
ডিএনডি প্রজেক্টের জন্য ১২শ ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মূলত করেনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই টাকাটা আসতে দেরি হয়ে গেছে। তবে এই জুলাই মাসেই টাকাটা আসবে। যেহেতু সেনাবাহিনী কাজটি করবে আমার প্রত্যাশা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি তারা শেষ করতে পারবে। তাদের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের সময় আমি অসুস্থ থাকায় সেখানে যেতে পারিনি। আমার ছেলেকে পাঠিয়েছি। ও তার টিম নিয়ে এলাকাগুলোতে গিয়েছে। ও এসে আমাকে ছবি দেখালো বলল মানুষের যা অবস্থা সেখানে জীবন যাপন করাও সম্ভব না। সেখানে মানুষকে কোরবানি করতে হচ্ছে। আমি কষ্টে ঈদের দিন সারাদিন বের হইনি। কারও সাথে কথাও বলিনি।
তিনি বলেন, আমার পানির কানেকশনটা তো ড্রেনের সঙ্গে থাকতে হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ পুরোটাই তো সিটি করপোরেশনের এলাকা। সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ যেন অতিশিঘ্রই সিদ্ধিরগঞ্জের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ঠিক কটা পানিটা যেন ডিএনডি খালে যায়। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে আমরা পানিতে নেমে বসে থাকবো।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ডিএনডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ পানি সম্পদ মন্ত্রানলয়ের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।