সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসা ৬ ট্রাকে করে ১০ মেট্রিক টন ভারতীয় কাঁচা মরিচের টন প্রতি আমদানি মূল্য পড়েছে ৪৫০ মার্কিন ডলার। এ হিসেবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে প্রায় ৫০ টাকা। দেশে এই কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বেচা বিক্রি সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। প্রথম চালানেই বন্দরে প্রবেশ করে ভারতীয় কাঁচা মরিচ বোঝাই ছয়টি ট্রাক। ছয়টি ট্রাকে ৬০ টনের মতো মরিচ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আরও ২০ থেকে ২৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ দেশে ঢুকার কথা রয়েছে।
সাতক্ষীরা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জানান, ভোমরা দিয়ে কাঁচা মরিচ ঢুকাই বাজারের ইতোমধ্যে দাম কমতে শুরু হয়েছে। তিন থেকে চার দিনে গেলে একেবারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় চলে আসবে কাঁচা মরিচের দাম।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, প্রতি টন কাঁচা মরিচের এলসি মূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে প্রতি কেজি মরিচের দাম পড়ে প্রায় ৫০ টাকা। দেশে এই মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বেচা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন দেশের অনান্য স্থলবন্দর দিয়ে যদি ৪০-৫০ ট্রাক কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে ঢোকে, তাহলে দেশে কাঁচা মরিচের দাম দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, দেশীয় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম দ্রুতই স্থিতিশীল হবে। আমাদের যথেষ্ট এলসি ও আইপি পারমিশন আছে। আজ সকাল থেকে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ ঢুকবে। আশা করা যায় দেশের বাজারে এবার মরিচের দাম কমবে।
প্রসঙ্গত, ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দেশি কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। কোথাও কোথাও দাম এর চেয়েও অনেক বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন এই নিত্যপণ্য আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
