ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় শুভপুরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদের ঘটনায় রবিউল হক সায়েদ হত্যা মামলায় সংবাদকর্মী সাব্বিরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে ফেনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে ভুক্তভোগীর মা জুলেখা বেগম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমার ছেলে একজন সংবাদ কর্মী। ৩০ জুন চম্পক নগরে ইভটিজিংয়ের ঘটনা শোনার পর আমার ছেলে সাব্বির শুভপুরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যায়। সেখানে কে বা কারা সায়েদকে ছুরিকাহত করে হত্যা করে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা লোকজনকে ধাওয়া দিলে অবস্থা বেগতিক দেখে সাব্বির স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষে আশ্রয় নেয়। সায়েদের উপর হামলাকারীরা সাব্বিরকে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দেখে জনরোষ থেকে বাঁচতে তারাও ওই কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সজিব ওই কার্যালয়ের বাহিরে তালা লাগিয়ে সবাইকে অবরুদ্ধ করে দেয়। সাব্বির তাৎক্ষণিক ওই কক্ষ থেকে বের হওয়ার চেস্টা করলে ইউপি সদস্য সজিব তাকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষে থাকা ঘটনায় জড়িতদের সাথে সাব্বিরকেও থানায় নিয়ে আসে। এবং হত্যা মামলার এজহারে ৯ নাম্বারে তার নাম দিয়ে তাকেসহ ১০ জনকে জেল হাজতে পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে সাব্বিরের মা বলেন, আমার ছেলে সাংবাদিকতার পাশাপাশি আর্ত্মমানবতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালে তার অক্সিজেন সেবা পুরো উপজেলায় প্রশংসিত হয়। সে ২২ জন মুহূর্ষ রোগীকে রক্ত দিয়ে জীবর রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি আমার নিষ্পাপ ছেলের নি:র্শত মুক্তি চাই।