কক্সবাজারের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে অগ্নিকান্ডে দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে।
বুধবার দিবাগত রাত ২ টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পুড়ে গেছে দেড় শতাশিক দোকান। এতে শত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা।
টেকনাফ বার্মিজ মার্কেটের পাহারাদার মোহাম্মদ কাইয়ুম জানিয়েছেন, বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মার্কেটে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাতাসের কারণে আগুন দ্রæত চারদিক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট, পুলিশ ও বিজিবি, উপজেলা প্রশাসনের সদস্যসহ স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বার্মিজ মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী মার্কেটের ৮৫ টি কাপড়ের দোকান, ২০ টি কসমেটিকস দোকান এবং আচার ও বিবিধ পণ্যের ২০-২৫ দোকান এবং ১৫-২০টি মুদিখানাসহ দেড়শ'র অধিক দোকান পুড়ে গেছে।
টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
টেকনাফ থানার ওসি মো.আব্দুল হালিম বলেন, সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার পাশাপাশি দোকানের ভেতর রাত যাপন করা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বের করার চেষ্টা করেছি। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সকালেও মার্কেট এলাকায় ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা গেছে। তা নেভানোর কাজ চলেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, পৌরসভার বার্মিজ মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। স্থানীয় লোকজনসহ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণসহ দোকানে আটকেপড়া লোকজনকে উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে প্রায় দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে সিংহভাগ মালামাল। এতে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেকনাফ বাজারের এই জমিটি জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানভ‚ক্ত। ২০০৭ সালে ১৬০ জন ব্যবসায়ী ৯৯ বছরের লিজ চুক্তিতে গড়ে উঠে এই বামির্জ মাকের্টটি।
