ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লাইলির প্রতারণার ফাঁদে অনেকে নিঃস্ব

লাইলির প্রতারণার ফাঁদে অনেকে নিঃস্ব

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের আইয়ুব আলী কন্যা লাইলী বেগমের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে একাধিক পরিবার । প্রতারণার শিকার হয়েছে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সহ দলীয় লোক ও বিভিন্ন সাধারন মানুষ ।

লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, ইকরচালী ইউনিয়নের উত্তর পাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর সুন্দরী কন্যা সুমনা আক্তার লিলি এলাকায় ( লাইলি) নামে পরিচিত। হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা লাইলি রুপের ঝলক দেখিয়ে স্কুল জীবনে বিয়ে করেন তার পাশ্ববর্তী গ্রামের দরিদ্র পরিবারের শাহাজাহান আলী ছেলে নুরুলকে । সেই সংসারে সিয়াম নামের একজন পুত্র সন্তান রয়েছে। সে বর্তমানে ইকরচালী ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত।

নুরুলের বাড়ীতে গিয়ে কথা হয় নুরুলের মা নুরবানু বেগমের সাথে তাকে লাইলি সম্পকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন আমার ছেলের সংসারে লাইলির এক ছেলে সন্তান আছে। লাইলি বেগম বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে আমার ছেলেকে প্রায় মারধর করে। দীর্ঘদিন দুজনের মধ্যে সংসারে বনি বন্টন না থাকায় এক পযায়ে আমার ছেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বউটা শুধু টাকা চিনে টাকা হলে তিনি সব কিছু করতে পারে। এই নিয়ে এলাকায় একাধিক বার চেয়ারম্যান মেম্বার বিচার সালিশ করেছে। সবশেষ তাদের মধ্য তালাক হয়েছে।

তালাক হওয়ার পর রংপুরে গিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে একাধিক ছেলের বন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় হয় এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে ততকালীন নাগেস্বরী উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইকরচালী হাজীপুর গ্রামের মজিবরের পুত্র আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সহকারী শিক্ষা কর্মকার্তার স্ত্রী বিষয়টি জানতে পারে লাইলিকে একাধিক বার তার স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকতে বলে। কিন্তু লাইলি বেগম নাছোড়বান্ধা। তিনি সহকারী কর্মকর্তার স্ত্রী কে পাত্তা না দিয়ে একাধিক বার তার সঙ্গে অবিসারে লিপ্ত হয়। সেখান থেকে সরে আসার জন্য পরিবার থেকে সহকারী কর্মকর্তাকে চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সেই শিক্ষা কর্মকর্তা।

পরিবর্তীতে সুমনা খাতুন (লাইলি) নাগেস্বরী থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। পরবতীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

এরপর তিনি ঢাকায় চলে গিয়ে ইমতিয়াজ নামে একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সঙ্গে পরিচয় ঘটে এবং সেই সংসারে এক সন্তান নিয়ে সংসার করতেছে। বিয়ে করে তার প্রতারণার কৌশল পাল্টে ফেলেন তিনি ঢাকায় বিভিন্ন আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছবি পোষ্ট করে। গ্রামের সহজ সরল লোক তাদের মধ্যে হামিদ হাজির ছেলে টিটু কে পুলিশের এস,আই পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এছাড়া তার প্রতারণার শিকার হয়েছে ইকরচালী ইউনিয়নের ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের কাছ থেকে তার জামাইয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরীর দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবতীতে সুমনা আক্তার লাইলি তার সাক্ষরিত দুইটি চেক জয়নালকে প্রদান করেন। যার নম্বর নং এস বি বি ৮৪০১৭১৮ অপরটি হল ৮৪০১৭১৭ জনতা ব্যাংক লিমিটেড মৌচাক শাখা। এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন গত ২৬ জুন রংপুরে সুমি কমিনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিলিরি সাথে কথা হলে তিনি টাকা নেওয়ার কথাটি স্বীকার করে বলেন, ১০ লাখ টাকা নয় আমি তার কাছ সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছি। ইতিমধ্যে তাকে এক লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছি।

রংপুর,লাইলী,প্রতারণা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত