আড়াইহাজারে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানের উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ, মূলহোতা গ্রেফতার
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১০:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঘুমন্ত স্ত্রীর পা ও সন্তানের মুখ অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি খোকন মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সানরিয়া চৌধুরী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (৫ জুলাই) দিনগত রাতে কুমিল্লার তিতাসের রায়পুর পুরান বাতাকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
গ্রেফতার খোকন মিয়া আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভার গায়েনপাড়া এলাকার মৃত আনসর আলীর ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ২৩ জুন রাতে ঘুমন্ত মা ও শিশুর উপর অ্যাসিড নিক্ষেপের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোর্শেদার (২২) প্রথম স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার কন্যা সন্তান মারিয়াসহ (৬) মোর্শেদার মায়ের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। গত ৫ মাস আগে মোর্শেদার সঙ্গে গ্রেফতারকৃত খোকনের বিয়ে হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির এটি তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে শিশু মারিয়াকে তার নানির বাড়িতে রেখে আসার জন্য চাপ দেয় মোর্শেদার স্বামী। এতে রাজি না হওয়ায় মোর্শেদার স্বামী তাকে প্রায়ই নির্যাতন করত।
এরই জের ধরে বিয়ের ৩ মাস পর গ্রেফতারকৃত খোকন মোর্শেদাকে মারপিট করে তার মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর গত ২৩ জুন রাতে মোর্শেদা তার সন্তানসহ ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় গ্রেফতারকৃত আসামি খোকন অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে নিয়ে শয়ণকক্ষের খোলা জানালার কাছে উপস্থিত হয়। তখন তাদের উপস্থিতির শব্দে ভিকটিম মোর্শেদা জানালার দিকে তাকিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীদের দেখে চিৎকার দেয়। তখন গ্রেফতারকৃত খোকন তার হাতে থাকা সিরিঞ্জ দিয়ে ভিকটিম মোর্শেদার ডান পায়ের উরুতে ও মারিয়ার মুখে নৃশংসভাবে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয় ।
তখন তাদের আত্মচিৎকারে মোর্শেদার মাসহ আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় আহতদের জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা সাহেদা বেগম বাদী হয়ে গত ৪ জুলাই আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।