বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকায় সরকারী ভিপি সম্পত্তি ডিসিয়ার নিয়ে জমির মাটি কেটে বিশাল নালা করায় রাস্তা ভেঙ্গে চরম দূর্ভোগে পরেছেন হাজার হাজার মানুষ। ওই সম্পত্তির মাটি কেটে বিশাল নালা করায় জনসাধারনের জন্য চলাচলের রাস্তাটি ইতিমধ্যেই দুই তৃতীয়াংশ ভেঙ্গে গেছে।
এমনটি বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ওই জমির উপর থাকা পুরো রাস্তাটিই বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান এলাকাবাসী। ডিসিয়ার কেটে জমির মালিক দাবীদার কাজিরাবাদ গ্রামের রফিক চৌধুরী ওরফে নাগর চৌধুরী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নামধারী নেতা হওয়ায় তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রাশেদ জানান, জনৈক নাগর চৌধুরী ডিসিয়ারভূক্ত সম্পত্তিতে নালা কাটার উদ্যোগ নিলে তিনি নিজেই তাকে বারন করেছিলেন। গভীর নালা কাটার কারনে রাস্তা ভেঙ্গে গেলে তিনি ওই রাস্তা রিপিয়ার করে দেবার কথা বললেও অভিযুক্ত নাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৪ থেকে ৫ বছর পূর্বে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার কাজিরাবাদ মৌজার ২ একর ১৭ শতক সরকারী ভিপি সম্পত্তি লিজ নেন ওই এলাকার আওয়ামী লীগের নামধারী নেতা রফিক চৌধুরী ওরফে নাগর চৌধুরী। ভিপি সম্পত্তি লিজ নিয়ে তিনি এলাকায় ওই সম্পত্তি ভোগদখল নিয়ে একাধিক ব্যাক্তির সাথে বিরোধে জড়ান। সম্প্রতি তিনি ওই সম্পত্তির উপর দিয়ে যাওয়া একটি কাচা সড়কের কোল ঘেষে বিশাল নালা কাটেন। নালা কাটার কারনে বৃস্টিতে গত দু দিনের মধ্যে ওই কাচা রাস্তা গর্তের মধ্যে ধ্বসে পরে। ইতিমধ্যেই বিশাল এলাকা জুড়ে দুই তৃতীয়াংশ সড়ক নালার মধ্যে ধ্বসে পরেছে। বৃস্টি অব্যাহত থাকলে দু এক দিনের মধ্যেই ওই সম্পত্তির মধ্যে থাকা পুরো রাস্তাটিই বিলিন হয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: জুয়েল সরদার বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নাগর চৌধুরীর কারনে আজ এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পরেছেন।
তিনি বলেন, ভিপি সম্পত্তি লিজ নিয়ে তিনি তার ইচ্ছে মতো ওই সম্পত্তির উপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তা ঘেষে বিশাল গর্ত তৈরী করেছেন। এসময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও তার প্রভাবে নালা কাটা আটকানো যায়নি। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানও তাকে রাস্তা ঘেষে নালা তৈরী করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তার কথাও শোনেন নি নাগর চৌধুরী। যে কারনে আজ এলাকার মানুষ ভোগান্তির মুখোমুখি হচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শুধু জুয়েল সরদারই নয়, ওই এলাকার মো : ফারুক ফকির, স্কান ফকির, ও ইউপি মেম্বর মো : জসিম সরদার জানান, দু চার দিনের মধ্যে পুরো রাস্তাটিই নালার মধ্যে ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়েছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিক চৌধুরী ওরফে নাগর চৌধুরী বলেন, আমি নিয়মের মধ্যে থেকেই ভিপি সম্পত্তিতে নালা কেটেছি। তিনি বলেন পুরো রাস্তাটিই আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে গেছে। আমার জায়গায় আমি যা করছি তাতে অপরে অভিযোগ করার যৌক্তিকতা নেই। তবে জনগনের চলাচলের রাস্তা ক্ষতি করার অধিকার আছে কিনা এ বিষয়ে কোন সদোত্তর দেননি তিনি।
সরকারী ভিপি সম্পত্তির উপর থাকা রাস্তা ক্ষতি সাধন করা কিংবা জমির আকৃতি পরিবর্তন করা বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে (০১৩১৮২৫৬৩৪৭) নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
