ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যমুনায় ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে

যমুনায় ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মলি­ক সাঈদ মাহবুব বলেছেন, যমুনা নদীতে ভাঙন রোধে বন্যার আগেই বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে এবং বন্যার মধ্যেই কাজ চলমান থাকবে। শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চরসলিমাদ ভুতের মোড়, সম্ভুদিয়া অংশে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী এ দুই উপজেলার ভাঙন রোধে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমীক্ষা চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

যমুনার পানি হ্রাস পেলে স্থায়ী কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে নদী ভাঙন থাকবে না। যমুনা নদীর ভাঙন রোধে পাড় থেকে দেড় থেকে দুইশ’ ফিট দ‚রে এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এতে স্রোতের ধাক্কা বা আঘাত সরাসরি পাড়ে লাগবে না এবং ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হবে না। পলি মাটি পড়ে ওই জায়গায় ক্রমাগতভাবে চর পড়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় এভাবে কাজ করা হয়েছে। ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া জমিতে বসতবাড়িসহ চাষাবাদ করতে পারে। যমুনার গতি পথ সোজা রাখা হবে নদী শাসনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ।

যুগের পর যুগ নদী ভাঙে ও গড়ে। নদীর বিভিন্ন জায়গায় চর ও ডুবোচর জেগে উঠে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রাকৃতিক ভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। যারা সমৃদ্ধশালী দেশ তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

এ কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এবং ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাহবুবুর রহমান, চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান, পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিল্টন হোসেন, ওসি হারুনর রশীদ, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল­া, সাহিদুল ইসলাম অপু ও অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নদী,ভাঙন,রোধ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত