সরদারকান্দি ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদ, রাস্তার বেহাল দশা

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উত্তর সরদারকান্দি বাদামতলী বাজার থেকে দক্ষিণ সরদারকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা ও একটি ৪০ ফুট দৈর্ঘের ব্রীজের এ্যাপরোচ সড়ক দেবে যাওয়া ও রেলিং না থাকায় বর্তমানে মরণ ফাঁদ পরিনত হয়েছে। 

প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট ছোট দূর্ঘটনা। রাস্তার বেহাল দশা ও ব্রীজটির এমন দুরাবস্থার জন্য চরম বেকায়দায় গ্রামবাসী। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট-সুড়কি বেরিয়ে পড়েছে। 

যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের দু’পাশে মাঝে-মধ্যে ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি, চার্জার অটো, রিকশা’সহ বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ চলাচল করে। 

স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে ওই এলাকার হাজারো মানুষ ও যানবাহন এই পথেই চলাচল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দূর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছেন অনেকে। দীর্ঘদিন এ রাস্তাটি পুণঃনির্মাণ না হওয়ায় সম্পূর্নরূপে ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। 

কয়েকজন অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যানচালক বলেন, ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় রয়েছে অসংখ্য ইটের টুকরো। তার উপর চাকা উঠলেই মোটরসাইকেল পিছলে যায়। সামনে তাকাবো না নিচে দেখবো। এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে পড়ি দুর্ঘটনায়। আমরা গরীব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। রাস্তার কারণে গাড়ির পেছনে যত খরচ হয় তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়াই কঠিন। সরকারের কাছে দ্রæত এই সড়ক সংস্কারের দাবি আমাদের।

এ ব্যাপারে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. রেজাউল করিম বলেন, বাদামতলী থেকে দক্ষিণ সরদারকান্দি পর্যন্ত ২ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি খালের উপর নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘের ব্রীজের এ্যাপরোচ সড়কটি দেবে গেছে। বিধায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মনির হোসেন জানান, রাস্তা ও ব্রীজটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ন তাই সংস্কার করা প্রয়োজন। রাস্তাটির আইডি নাম্বার গেজেটভুক্ত হয়নি বিধায় রাস্তাটির সংস্কার কাজ করতে পারিনি। পুরো উপজেলায় ১৪১ টি রাস্তার নতুন আইডি নাম্বার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি, আইডি গেজেটভুক্ত হইলে কাজ শুরু করবো।   

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের আওতাধীন ২০০২ সালে জনগুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়। এলাকাবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।