রংপুরে কাউন্সিলরের নির্যাতন, অতর্কিত হামলার অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জার নির্যাতন, অতর্কিত হামলা ও বাড়ি-ঘরসহ গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন।

রবিবার দুপুরে স্থানীয় সূমি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোছাঃ রিনা বেগম। তিনি বলেন, আমি রসিক ২নং ওয়ার্ডের পুর্ব গোয়ালু পাড়ার, হাজিরহাট মেট্রোঃ থানার বাসিন্দা। 

গত ০৭-০৫-২০২৩ তারিখে মুদি খানার দোকানের বাকি নিয়ে আমার মা রনজিনার সাথে বড় বোন রিক্তার কথা কাটাকাটির জেরে আমার বোন ০২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জাকে নালিশ করেন। 

মির্জা সাহেব হাতে লাঠি নিয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। আমি ও মা গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে তার হাতের লাঠি দ্বারা আমাকে এলোপাতারি মারডাং করতে থাকে এতে করে আমার বিভিন্ন স্থানে জখম হয়, এমতাবস্থায় আমার মাথায় আঘাত করলে আমি আর কিছু বলতে পারি না, সে সময় আমার মাসহ এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসার একপর্যায়ে আমি বাদি হয়ে থানায় মামলা করতে চাইলে তাদের পরামর্শে গত ১৫-০৫-২০২৩ তারিখে কোটে মামলা করি যার মামলা নং সিআর-৩৪/২০২৩।

মামলার পর আসামীরা মামলা তুলার জন্য আমাকেসহ আমার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছে। এমতাবস্থায় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে দুলাল মিয়া, মহসিন, মুকুল, ইমরানসহ কয়েকজন গত ২৭-০৬-২০২৩ তারিখ রাতে কুড়াল, বেকি, ছোড়াসহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। সে সময় তারা বাড়িতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাত করে। বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করলেও তাদের মুখুশ সিসি ক্যামেরায় সংগৃহিত আছে। 

এ সময় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তারা তিনটি টিনসেড রুম ও ৫টি আধা পাকা বসত ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং বাসার সামনে থাকা ঢাকা মেট্রো:-চ-৫৪১০০৬ নোয়া মাইক্রোবাস ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় যা সিসি ফুটেজে সংরক্ষণ আছে।

রে ৯৯৯ এ ফোন করা হলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আসামীরা এরপরও হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর হতে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীণতায় ভূগছে। কাউন্সিলর গংদের ভয়ে বাসায় থাকতে পারছিনা। এ ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও ন্যায় বিচার কামনা করছি।