চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যাণ্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) জেলা শাখার উদ্যোগে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, ওজিএসবি জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. রেহানা পাড়ভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাদিয়া সিদ্দিকা, ডা. নাসরিন সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান লিটন, বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) জেলার সভাপতি ডা. ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিনা তদন্তে চিকিৎসক গ্রেপ্তার ও চিকিৎসকদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে হয়রানির শিকার ডা. মুনা, ডা. শাহজাদী এবং ডা. মিলির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত (৯ জুন) ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সে দিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে না থাকায় তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে (১০ জুন) বিকালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর (১৫ জুন) রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত (১৮ জুন) মারা যান গৃহবধূ মাহবুবা রহমান আঁখি।