বাঁশখালীতে ২ সন্তানের জননী কে জবাই করে হত্যা

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ১৪:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ২ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আশা খাতুন (৫০) বৈলছড়ি  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনা পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রকাশ (তোতা) মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ সোমবার দিবাগত রাত ১ টার সময় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে বলে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ধারণা।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনা পাড়া গ্রামের দু’সন্তানের জননী আশা খাতুন বাড়িতে একাই ছিলেন।  তার স্বামী নুরুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য ২ দিন পূর্বে চট্টগ্রাম শহরে ছিলেন। সেই সুবাদে দুর্বৃত্তরা ঘরে ডুকে তাকে জবাই করে হত্যা করল। এলাকাবাসী জানায় সে এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা লাগিয়ত করত। হয়তো আর্থিক লেনদেন থাকার কারণে এই হত্যাকান্ড। 

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারা (সার্কেল) মোঃ কামরুল হাসান, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে।

উল্লেখ্য যে, নিহত আশা খাতুনের স্বামী চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম শহরে ছিলেন। অপর ২ মেয়ে রোজিনা ও ডেজি আক্তার তাদের নিজ নিজ শাশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

নিহত আশা খাতুনের ভাসুরের ছেলে মো: নাছির উদ্দীন জানান,  ‘টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও আর্থিক লেনদেনের কারণে হয়তো  আমার চাচীকে খুন করা হয়েছে, তবে বাকী টা আল্লাহ মালুম।  আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই ’।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্বামী এবং মেয়েকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানা নিয়ে আসা হয়েছে।  মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম  মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে।