ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মধ্যরাতে ইবি মেডিকেল ভাঙচুর করলেন বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী

মধ্যরাতে ইবি মেডিকেল ভাঙচুর করলেন বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল মধ্যরাতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে রেজিস্ট্রার বরাবর।

সোমবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরি বিভাগের রুমে এই ঘটনা ঘটে। প্রধান অভিযুক্ত কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্য দুই সহযোগী হলেন একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সালমান আজিজ ও আতিক আরমান। এর আগেও কাব্যকে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আইন বিভাগের কাব্য রাত ১০ টার দিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তারকে বুকের ব্যথার কথা জানান। পরে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে দু’জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মেডিকেলে আবার আসে কাব্য। চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া যাবে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চান কাব্য। পরে অ্যাম্বুলেন্স পেতে বিলম্ব হওয়ায় এমন কাণ্ড ঘটায়।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কাব্য বলেন, মেডিকেলে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। আমার পা একটু ভাঙা, চেয়ারও একটু ভাঙা, এজন্য পায়ের ধাক্কায় চেয়ারটা পড়ে গেছে। পরে আমি তা তুলে রাখি।

সে সময়ে দায়িত্বে থাকা ডা. ওয়াহিদুল হাসান বলেন, ওই শিক্ষার্থী বুকেব্যথা সমস্যা জানালে আমি তাকে চিকিৎসা দেই। তবুও তিনি অ্যাম্বুলেন্স করে কুষ্টিয়া যেতে চান চিকিৎসা নিতে। এখানে কিছুটা দেরি হওয়ায় তিনি এমন ঘটনা ঘটান।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের লোকজন এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছেন। আমাকে প্রশাসন বলছে লিখিত অভিযোগ দিতে। আমি দিয়ে দিছি। এখন বাকীটা প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করা হয়েছে। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ যেহেতু অভিযোগ দিয়েছে, সেইক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে।

মধ্যরাত,ভাঙচুর,শিক্ষার্থী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত