সখীপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার দাবি

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ১৯:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগ ওঠেছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তারা রিটার্নিং কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিনের প্রত্যাহার দাবি করেছেন। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ১৫-২০ জন কর্মকর্তা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শিহাব উদ্দিন মূলত টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি সম্প্রতি সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ও হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের একজন অফিস সহকারী জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত একটি কাজে উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদকে ফোন দেন।
 
পরে ফরিদ আহমেদ নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক তাঁকে বসতে বলেন, কিন্তু হাতীবান্ধা, হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন কোনো কারণ ছাড়াই উচ্চস্বরে ফরিদ আহমেদকে "বেরিয়ে যা" বলে কক্ষ থেকে বের করে দেন। 

এ খবর অফিসপাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১৫-২০ জন কর্মকর্তা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) মনজুরুল মোর্শেদের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন শিহাব উদ্দিন। 

বিভিন্ন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত শিকদার বলেন, দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন ওই কর্মকর্তা। আমি তাকে প্রত্যাহারের দাবি করছি।

সখীপুর অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে আমাদের একজন সহকর্মী অপমানিত হয়েছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা ওই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন বলেন, জরুরি কাজে ব্যস্ত ছিলাম, এ কারণে তাঁকে অন্য কক্ষে যেতে বলেছিলাম। এ ছাড়া আমার চাকরি জীবনে কারো সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। কেউ এমন অভিযোগ করলে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সখীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আশা করছি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।