নোয়াখালীর মেঘনানদীতে ৬৫ দিন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩টি ট্রলারসহ ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে মৎস্য অধিদফতর ও নৌ-পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই ট্রলার ৩টিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। নদীতে জেলেরা কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান করে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশের একটি দল। এসময় হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জাল পাতানোর প্রস্তুতি অবস্থায় তিনটি ট্রলারকে আটক করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৫ জন মাঝি মাল্লাকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩টি ট্রলারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং জব্দ করা কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
এসময় হাতিয়ার দায়িত্বে থাকা নোয়াখালী সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল, নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিনসহ মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল বলেন, মাঝে মধ্যে জেলেরা নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে থাকে। এটা পুরোপুরি অন্যায়। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। অবৈধ কারেন্ট জাল সহ নদীতে সকল অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজকের অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি সবাইকে আইন মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
জেলা মৎস্য উপ পরিচালক ইকবাল হোসেন জানান এখন নদীতে জাল পেলা মাছ ধরা উভয় অপরাধ, অপরাধী যেই হোক তাকে আইন অনুসারে বিচার হবে। আগামী ২৪ তারিখে মাছ ধরা শুরু হবে। এর আগে নদীতে জাল জেলে পাওয়া গেল প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহন,করা হবে।
