ভাঙ্গুড়ায় স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রণোদণার টাকা কর্মকর্তার পকেটে

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ১৫:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

  ভাঙ্গুড়া (পাবনা ) প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনা কালীন সময়ে করোনার টিকা প্রদানের কর্মীদের প্রণোদনার লক্ষাধিক টাকা সাত পাঁচ বুঝিয়ে পকেটে তোলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ডা: মোছা: হালিমা খানমের বিরুদ্ধে। 

তিনি ওই টাকা সিভিল সার্জন অফিসের ওডিট ও ভ্যাট আইটি বাবদ সকল কর্মচারীদের নিকট থেকে কেটে রেখেছেন মর্মে স্বীকার ও করেছেন তিনি। তবে পাবনা সিভিল সার্জন বলছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং সিভিল সার্জন অফিস এ বিষয়ে কোনো অডিট করে না। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোভিট - ১৯ এর ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্প প্রাথমিক স্কুল শাখায় ৫ থেকে ১১ বছরের বয়সী শিশুদের করোনা টিকার প্রদান করা হয়। করোনা টিকার ২য় ডোজ প্রদান কার্য্যক্রমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬২ জন অংশ গ্রহণ কারীদের কর্মচারীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ব্র্যাক আর্থিক প্রণোদনার নগদ ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ২শত টাকা প্রদান করেন বেশ কিছুদিন আগে। এর আগে ৬২ জন কর্মচারীদের বিল তৈরি করে সেখানে রাজস্ব টিকিট লাগিয়ে ব্র্যাক বরাবরে প্রেরণ করা হয়। 

চলতি বছরের গত ২৫ জুন ব্র্যাকের দায়িত্ব প্রাপ্ত এরিয়া কর্মকর্তা কণিকার মাধ্যমে ওই পরিমান অর্থ গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হালিমা খানমের নেতৃত্বে। এর পর তিনি নিজের মনগড়া হিসাব করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ শত ৪২ জন কর্মচারীদের মধ্যে তা বন্টন করে দেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: হালিমা খানম ভ্যাট আইটি ও সিভিল সার্জন অফিসের অডিটের কথা বলে ৯১ হাজার টাকা তিনি রেখে দেন। এ ক্ষেত্রে তার অধীনস্থ কর্মচারীরা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও ভিতরে ভিতরে হয়েছেন ক্ষুদ্ধ। 

অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এই অর্থ নিজের পকেটস্থ করার জন্য নানান তালবাহানা করছেন। যা ভ্যাট আইটির নামে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছেন। এ বিষয়ে বিষয়ে ব্র্যাকের ভাঙ্গুড়া অফিসের এ এম (এইচএনপিপি) কণিকা রানী দাস কোভিট-১৯ এর ভ্যাসিনেসন কার্য্যক্রমে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ২য় ডোজ প্রদানের সাথে জড়িতদের প্রণোদনার টাকার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অপাগতা প্রকাশ করেন। 

এ বিষয়ে ব্র্যাক ভাঙ্গুড়া শাখার উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আবুল হোসেন বলেন, ব্র্যাক কর্তৃক কোভিট - ১৯ এর ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্প প্রাথমিক স্কুল শাখা ৫ থেকে ১১ বছরের বয়সী শিশুদের করোনা টিকার প্রদানের সাথে জড়িতদের প্রনোদনার অর্থ ভ্যাট আইটি মুক্ত প্রায় চার লাক্ষ টাকা স্বচ্ছভাবে প্রদান করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মান্নান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ব্র্যাক হতে প্রাপ্ত প্রণোদনার ৯১ হাজার টাকা তার হাতে নগদ রাখা আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও  পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মোসা: হালিমা খানম ৯১ হাজার টাকা রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, টাকাটা আমি হাত দিয়ে ছুয়ে দেখি নি। প্রণোদনের টাকা বিতরণ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ঠ টাকাটা আছে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মান্নান সাহেবের নিকট। সিভিল সার্জন অফিসের অডিট ও ভ্যাট আইটি বাবদ ওই ৯১ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। পাবনা সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি আমি অবগত নই। আর সিভিল সার্জন কার্যালয় কোনো অডিট করে না।