রংপুরে নিজের পদ জাতীয়করণ না হওয়ায়, স্থানীয় সংসদের বিরুদ্ধে  মিথ্যা প্রচারণা অধ্যক্ষের

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ১৭:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরের বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ হলেও দূর্ণীতির ৯টি অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের পদটি জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় সাংসদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক ও কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ তুলেছেন কলেজটির শিক্ষকরা।

বুধবার (১২জুলাই )দুপুরে রংপুরের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষক।

বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ প্রভাষক উৎপাদক ব্যবস্থাপনা ্ও বিপনণ শিক্ষক জানান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় কলেজটি জাতীয়করণ হলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কলেজের জমি থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং কলেজের আর্থিকসহ সব বিষয়ে অডিট করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।

তিনি র্আও জানান অডিটে অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ ১০টি অনিয়মের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রামানিত হয়।শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারী দূর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মাজেদ আলীর শাস্তির সিদ্ধান্তর জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

মন্ত্রনালয় ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল মাজেদের বিরুদ্ধে শাস্তির প্রজ্ঞাপন জারি করেন এবং ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারী অধ্যক্ষ মাজেদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এর আগে ৭ এপ্রিল রংপুর আঞ্চলিক দূর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা চলমান রয়ছে।

জানা গেছে, দূর্নীতির ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া এবং দূদকে মামলার কারণে কলেজ জাতীয়করণ কার্যক্রমে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ সৃজন শেষ হলেও অধ্যক্ষের পদ সৃজন হয়নি।

্ওই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান, পদসৃজনে অধ্যক্ষ বাদ পড়ায় কলেজের ৮ শিক্ষকের নামে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করেছেন। যেসব অভিযোগ দিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী করছেন, সেই অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রনালয় নিষ্পত্তি করে দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে দারস্থ হলেও আদালতও শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, আট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোথাও কোন ফায়দা লুটতে না পেরে এবং দূর্নীতির কারণে জাতীয়করণে নিজের পদ সৃজন করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে অধ্যক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হত চৌধুরী ডিউকসহ আমাদের বিরুদ্ধে বিষদগার এবং নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। যাতে করে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ে। এই অবস্থায় আমরা  অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানকে দ্রুত অপসারণ করার দাবী করছি। সেঙ্গ সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলেজ জাতীয়করণ করায় অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন বিভাগের প্রভাষক ফরিদুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের আলীনুর রহমান, বাংলা বিভাগের নিরঞ্জর কুমার, শামীম আল মামুন, রাশেদা খাতুনসহ অনেকে।

অন্যদিকে অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খান জানান,প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন করছি।তবে যা সত্য তাই আবেদনে দিয়েছি।কারন এ সব ঘটনার সাথে শিক্ষকর্ওা জড়িত আছে।এ কারনে তদন্ত করে ব্যবস্থা করার দাবি করছি।