আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে চাই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার একটি নির্বাচিত সরকার।
নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির এক দাবি তথা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি হাস্যকর।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক দিনে এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল যারা একদফা দাবি করছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের স্বপ্ন দেখছে- এ দাবি তাদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। তাদের এই দাবি কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না। একটি নির্বাচিত সরকার কোন দিনই কারও দাবিতে পদত্যাগ করবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৪-১৫ সালে তাদের সন্ত্রাস দেখেছি। তাদের সেই সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে এ দেশের জনগণ মোকাবেলা করেছে। আগামি নির্বাচন যাতে সুন্দর সুষ্ঠু হয়- আমি মনে করি তারা(বিএনপি) সেই পথে আসবে। তারা দাবি করবে কিভাবে আগামি নির্বাচনটা সুন্দর, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করা যায়? সেটি নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে এবং আমরা সকলে মিলে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব- যাতে তারা পৃথিবীর কাছে অত্যন্ত সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিরা জানে সব কিছুই আমাদের সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের বাইরে কিছুই করার কোনো সুযোগ নাই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে তাদের চাওয়া খুবই জোড়ালো। প্রধানমন্ত্রী ভালো নির্বাচন করার আশ^াস তাদের(উন্নয়ন সহযোগীদের) দিয়েছেন- সেটি বাংলাদেশে হবে। আমরা আগামি দিনের জাতিকে বলতে চাই- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য হবে।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ উৎসবে অন্যদের মধ্যে অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার,টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহ্সানুল বাশার, টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে গাছের চারা বিতরণ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তি, এনজিও প্রতিনিধি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে বৃক্ষ মেলায় মিলিত হয়।