প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, মামলার জট ছাড়িয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায় বিচার পায়, সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় মানুষ ঘুরতে থাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এবং বিচার না পায়, তাহলে হয়তো বা সে বলেও ফেলতে পারে যে দেশে বিচার আচার নাই। আমরা এটা হতে দিতে পারি না। এ জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। আমরা যে উদ্দেশ্যে ৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছেন, এই রক্তের ঋণ পরিশোধ করবো। পরিশ্রম করে দেশকে গড়ে অর্থনীতিসহ প্রতিটা ক্ষেত্রে যাতে দেশ এগিয়ে যায়, ইনশাল্লাহ আগামী ২০ বা ৩০ বছরে আমাদের অবস্থান হবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তী প্রস্থর স্থাপন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আস্তে আস্তে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে সারাদেশের মধ্যে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ বছর অগ্রগতি আরো বেশি। এজন্য ময়মনসিংহ জেলা দেশের প্রথম ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ লাভ করেছে। এজন্য তিনি ময়মনসিংহের বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
এরপর তিনি আদালত প্রাঙ্গনে জাজে’স গার্ডেনে বৃক্ষরোপন ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করে নগরীর টাউনহল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আইনজীবীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন ও জাকির হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান ও কবীর উদ্দিন ভূইয়া।
এতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার এসকেএম তোফায়েল হাসান প্রমূখ।