পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারন ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ফ্লিমি স্টাইলে চেয়ারম্যানের ভাগিনাসহ চারজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার ( ১৬ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর-তাঁতেকাঠী ইউনিয়ন পরিষদে এঘটনা ঘটে। আহতরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত চলাকালে ইউপি চেয়ারম্যানসহ একাধিক ইউপি সদস্যদের সামনে সাইফুল ইসলাম ওরফে মাসুদ সওদাগর নামের এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে এ হামলা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ সওদাগর বলেন, মারধরের ঘটনা ঘটেনি। সামান্য হাতাহাতি হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ড সাধারন সদস্য শূণ্য পদে উপ-নির্বাচন চলছে। এতে ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। চেয়ারম্যানের ভাগিনা হাসন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সাইদুর রহমান লিখনের পক্ষে ও মাসুদ সওদাগর ঘড়ি প্রতীকের সোহাগ ফরাজির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। গতকাল ঘড়ি প্রতীকের এক সমর্থককে হুমকি দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। হুমকি দেয়ার ঘটনার জেরে মাসুদ সওদাগর পরিষদে ঢ্থকে চেয়ারম্যানের ভাগিনা হাসানকে মারধর করেন। এসময় হাসানের সাথে সাথে রাসেল মৃধা, মিরাজ ও স্বপন মৃধাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
চেয়ারম্যানের ভাগিনা হাসান মাহমুদ বলেন, ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে মাসুদ সওদাগর ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। আমি মোরগ প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় মাসুদ সওদাগর গতকাল রাতে আমাকে মুঠোফোনে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।
আজ (রোববার) সকালে মাসুদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার সাথে থাকা লোজনকও মারধর করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম ওরফে মাসুদ বলেন, নির্বাচনের মাঠে চেয়ারম্যান ভাগিনা হাসান মামার ক্ষমতার প্রভাব করছে। ঘড়ি প্রতীকের এক সমর্থকে প্রকাশ্য লাঞ্ছিত করেন। কেনো লাঞ্ছিত করা হয়ে জানতে চাইলে হাসান মুঠোফোনে খারাপ ব্যবহার করেন। এবিষয়ে কথা বলতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এসময় সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মহসিন বলেন, গ্রাম আদালতে বিচারকার্য চলছিল। এমন সময় মাসুদ সওদাগর তার বাহিনী নিয়ে আদালত কক্ষে ঢুকে হামলা করে। আমার ভাগিনাসহ ৪/৫জন মারধর করে আহত করে। পরে উপস্থিত লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।