চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ২দফা সংঘর্ষে প্রার্থী সবুজ মিয়া ও তার আপন ভাই রিপন মিয়াসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫জন।
বর্তমানে ভোট চলিত অবস্থায় থাকলেও এলাকায় ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে মারাত্বক উত্তেজনা আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে ব্যাপক পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এই ঘটনায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। এরপর পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও পুনরায় ভোট গ্রহন শুরু হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে,সোমবার (১৭জূলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
১নং ওয়ার্ড আহত কাউন্সিলর প্রার্থী রিপন মিয়া জানান, এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী সাত জন। এরমধ্যে তার ভোটার সংখ্যা বেশি। অন্য প্রার্থীদের ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় তারা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ঢেঁড়স প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী রতন ও টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় আমি নিজেও আমার ভাই রিপন মিয়া মারাত্বক ভাব আহত হয়েছি।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিলন মাহমুদ জানান, এই কেন্দ্রে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। যারা এই ঘটনায় সাথে জড়িত অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এই প্রথম ইভিএম এ ভোট হওয়ায় নারীদের ভোট দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে । আমরা শেষ সময় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করব। নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক আইন-শ্রঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন শেষ নাওয়া পর্যন্ত পৌর এলাকায় অবস্থানরত থাকবে। কোন রকম হামঙ্গামা হতে দেওয়া যাবেনা।