কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কক্সবাজারস্থ র্যাব ১৫ এর একটি চৌকুস আভিযানিক দল ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। রবিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় র্যাব ১৫ এর পক্ষ প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামনগর এলাকার মৃত ছৈয়দ হোসেন প্রকাশ বদু ড্রাইভারের ছেলে আবুল হোছন (৫০), তার ভাই মো. আরিফ প্রকাশ পুতিয়া (৪০) ও আবু তাহেরের স্ত্রী ডলি আকতার (৩০)।
র্যাব সূত্র জানায়, গত ১১ জুলাই সকাল অনুমান ৭টার দিকে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম নগর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসমত আরা বেগম (৩৮) কে প্রতিবেশী আবুল হোছন, সেলিম, আরিফ, ডলি আক্তারসহ আরো কয়েকজন মিলে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ সময় নির্যাতনকারীরা দা, কিরিচ ইত্যাদি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ভিকটিম ইসমত আরা বেগমের শরীরের বড় অংশের মাংস তুলে ফেলে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে মৃত ভেবে টেনে হিঁচড়ে তারা মহাসড়কে নিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা মুহুর্তে মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন জিন্নাত আরা (৪০) বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারে চিরুনী অভিযান শুরু করে র্যাব ১৫। তারই ধারাবাহিকতায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই গত ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে কক্সবাজারস্থ র্যাব ১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ও এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামীকে গ্রেপ্তারে র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা ঘটনার সাথে তাদের নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চকরিয়া থানায় হস্তাস্থর করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল জব্বার বলেন, নারীকে হত্যা চেষ্টা মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার বিকালে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।