ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১ আগস্ট থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা

১ আগস্ট থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন রংপুর বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে তিন দফা দাবিতে সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব, রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন।

৩১ জুলাই মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ আগষ্ট থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সকল জ্বালানী ব্যবসায়ীরা জ্বালানী তেল উত্তোলন ও পরিবহন বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ শহিদ শোভন, সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানী তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করতে হবে। জ্বালানী তেল (ডিজেল/ পেট্রোল/অকটেন) বিক্রয়ের উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫% করতে হবে ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে এই তিন দফা দাবি আদায়ে সরকারে হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, বর্তমান সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুতে বিশাল গুরুত্ব নিয়ে অবস্থান করছে জ্বালানি তেল সেক্টর। এ ব্যবসার উপর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে বিভিন্ন রকম ট্যাক্স, লাইসেন্স, ছাড়পত্র যেমন-পেট্রোলপাম্প কল-কারখানার আওতায় পড়ে না, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন তেল কোম্পানী থেকে উত্তোলনপূর্বক বিক্রয় করা হয়। অথচ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে।

ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবেশ দূষন হওয়ার সুযোগ নেই, অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে চাপ পয়োগ করছে। সড়ক ও জনপথ ফিলিং স্টেশনসমূহকে জমির ইজারা গ্রহণের চাপ প্রয়োগ করছে, অথচ ফিলিং স্টেশন থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহকারী গাড়ীর বিআরটিএ এর রুট পারমিট রয়েছে এমনকি তেল পরিবহণকারী ট্যাংকলরীরও রুট পারমিট রয়েছে। ফিলিং স্টেশনের জ্বালানি স্টোরেজ ট্যাংক বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক যা ভূগর্ভে স্থাপিত। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক কোন পরিমাপ যন্ত্র নয়, তাছাড়া এটা ভোক্তাদের স্বার্থের সাথে কোনভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয় এবং যা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার সুযোগ নাই, অথচ বিএসটিআই উক্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক প্রতি বছর ক্যালিব্রেশন করার জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।

,সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য যখন ৬০ টাকা ছিল তখন যে হারে কমিশন প্রদান করা হতো এখন তেলের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ার পরও প্রায় একই হারে কমিশন প্রদান করছে। অথচ তেল ক্রয়ে ডিলার/এজেন্টদের দ্বিগুণ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে, একইসাথে জিনিসপত্রের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির ফলে কর্মচারীর বেতন অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে হয়েছে এবং সকল লাইসেন্স ফি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিসহ ট্যাংকলরীর পার্টস এর মূল্যও দ্বিগুণ হয়েছে।

পাশাপাশি যেখানে অটোগ্যাস স্টেশন (এলপিজি) প্রতি লিটার ৪৬.৫০ টাকা করে বিক্রয় করে আট টাকা কমিশন পাচ্ছে, সেখানে প্রতি লিটার অকটেন ১৩০ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা ও ডিজেল ১০৯ টাকা বিক্রয় করে আমাদের কমিশন দেওয়া হচ্ছে চার টাকা। অথচ সংশ্লিষ্টজন সব কিছু অবগত আছেন এবং আমাদের সাথে বারবার বৈঠক করে কমিশন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ও সুপারিশ পেশ করে শুধু সময় ক্ষেপন করে চলেছেন। জ্বালানি ব্যবসায়ীরা আশাহত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন। আমরা ডিলার্স কমিশন ৭.৫% করার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলার্স কমিশন ও ট্যাংকলরী ভাড়ার বিষয়টি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছি।

তাই জ্বালানী তেল বিপণন কাজে নিয়োজিতদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে গেজেটের মাধ্যমে জ্বালানী ব্যবসায়ীদের অবস্থান/মর্যাদা কমিশন এজেন্ট ঘোষনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে দ্বৈত লাইসেন্সসহ বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

আমাদের উত্থাপিত দাবিসমূহ আগামী ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আগামী ০১ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সকল জ্বালানী ব্যবসায়ীরা জ্বালানী তেল উত্তোলন ও পরিবহন বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এ সময় সভাপতি আজিজুল ইসলাম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সভাপতি দিনাজপুর রফিকুল আলমসহ রংপুর বিভাগের ৩৯৫ টি পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

তেল,উত্তোলন,বন্ধ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত